২০ মার্চ ‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষ্যে সারা দেশে শুরু হলো ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০। বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ওয়ালটনের এ উদ্যোগ। ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং সিলিং ফ্যান ক্রেতাদের জন্য নগদ লাখ লাখ টাকা, ফ্রি পণ্যসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলাম ব্যবসা শুরু করেন। ওই সময় তিনি চালু করেন আর.বি. (রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স) গ্রুপ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের পর ১৯৯৭ সালে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায় যুক্ত হয় ওয়ালটন। বাংলাদেশে তৈরি উচ্চমানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে খুব দ্রুতই ওয়ালটন ক্রেতাদের মন জয় করে নেয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে ওয়ালটন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ মার্চ ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপিত হয়। দেশ-বিদেশের সব ওয়ালটন অফিসসহ সারা দেশে ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেটে সারা দিন ছিলো নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, বেলুন উড্ডয়ণ, আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, মিষ্টি, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি।
সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় করপোরেট অফিসে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। কাটা হয় ২১ ফুট লম্বা বিশালাকার কেক। একই সাথে বেলুন এবং শ্বেত কপোত উড়ানো হয়। সে সময় ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১০ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর এবং শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, আমিন খান ও ফিরোজ আলম, ওয়ালটন এসির সিইও তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, টিভির সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও সোহেল রানা এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও আল ইমরান।
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রেতারা পেতে পারেন নগদ ১ লাখ টাকা। রয়েছে বিভিন্ন অংকের কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। আর ওয়ালটন এসির ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এদিকে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ওয়ালটন টিভির ক্রেতারা প্রতি ঘন্টায় পেতে পারেন এসি ফ্রি। আছে নিশ্চিত মূলছাড়। আর সিলিং ফ্যান ক্রেতাদের জন্য রয়েছে লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। ২০ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা থাকছে।
কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে আরো দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল ও বারকোডসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পারছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই আকর্ষণীয় উপহারসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নয়টি সফল সিজন পেরিয়ে দশম সিজন শুরু করলো ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, কোটি কোটি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ওয়ালটন। প্রায় দুই যুগ আগে ওয়ালটনের উদ্যোক্তারা যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার ফলেই দেশ আজ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের সিংহভাগ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওয়ালটন পণ্য ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতায় ওই সময়ের আগেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটনের লক্ষ্য সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধা দেয়া। সেজন্যই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ওয়ালটন ডে’তে ক্যাম্পেইনের নতুন সিজন শুরু হলো। আমাদের বিশ্বাস আগের সিজনগুলোর মতো এই সিজনও ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।