২০২০ সালে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর নির্মাণে বাজারের শীর্ষস্থান দখলে রয়েছে কোয়ালকমের। এর পরের অবস্থানে আছে অ্যাপল। স্মার্টফোনগুলোয় স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর সিরিজের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারের ৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম। খবর আইএএনএস।
অন্যদিকে এ১৪ বায়োনিক চিপের কারণে ২৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রেখে বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অ্যাপল। চিপটি বিশ্বের প্রথম ৫ ন্যানোমিটার আকৃতির অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর, যেটি মূলত আইফোন ১২ বাজারে আসার পরপরই ভালো পরিচিতি পায়। ১৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে চীনের হাইসিলিকন অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর। অন্যদিকে সমপরিমাণ শেয়ার নিয়ে কিছুটা পিছিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে তাইওয়ানের মিডিয়াটেক প্রসেসর।
এক্সিনোস চিপসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বিশ্বের পঞ্চম সর্ববৃহৎ অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবস্থান করছে। ইন্টেলের সঙ্গে ১৬ শতাংশ ও কোয়ালকমের সঙ্গে ১৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ২০২০ সালে অ্যাপল তাদের ট্যাবলেটের অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর নির্মাণে ৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকসের সহযোগী পরিচালক স্রাভান কুন্দজ্জালা বলেন, ‘করোনা মহামারী, বাণিজ্যযুদ্ধ, কিংবা পণ্য সরবরাহের স্বল্পতা থাকলেও ২০২০ সালে অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসরের বাজার ভালো মুনাফা অর্জন করেছে। উচ্চমূল্যের ৫জি এবং ৫ ন্যানোমিটার অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসরের অধিক বাজারজাত এ মুনাফা অর্জনে সহায়তা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোয়ালকম, মিডিয়াটেক, স্যামসাং এলএসআই এবং ইউনিসকের মাঝামাঝি থেকে নিম্নমানের ৫জি প্রসেসর ২০২১ সালে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর বিক্রির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে।’
গত বছর স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর মার্কেট ২৫ শতাংশ বেড়েছে এবং রেকর্ড ২৫ লাখ কোটি টাকা প্রবৃদ্ধি করেছে। ২০২০ সালে ৫জি অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসরের সরবরাহ বেড়েছে, যা মোট সরবরাহের এক-চতুর্থাংশ।
২০২০ সালে স্যামসাংয়ের পাশাপাশি টিএসএমসি অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসরের ফাউন্ড্রি মার্কেটের দুই-তৃতীয়াংশ শেয়ারের নেতৃত্ব দিয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই ৭ ও ৫ ন্যানোমিটার চিপসেটের জোরালো চাহিদা লক্ষ্য করেছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সুবিধাসংবলিত স্মার্টফোনগুলো অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্মার্টফোন বাজারজাতের হার ৯০০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে।