ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে পৌঁছে দিতে স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন দেয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার।রোববার ই-ক্যাব আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী পৃথিবীতে বৈশ্বিক বাজারের ডিজিটাল কমার্স’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের শতকার ৮২ ভাগ বাংলাদেশের উৎপাদিত স্মার্টফোন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ এখন ফাইভজি ফোন উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি করছে।
তিনি বলেন, প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ডিজিটাল কমার্স একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠছে। আগামীর বাংলাদেশে কেবল বাণিজ্যই নয়, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ও কলকারখানাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ডিজিটাল মহাসড়ক দিয়েই এগিয়ে যাবে।‘ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ প্রক্রিয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই সম্পন্ন হবে। করোনাকালে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। হাওর, দ্বীপ ও দূর্গম চরাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে’ বলছিলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ব্যয় নয়, এটি বিনিয়োগ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করে দিয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য টেলিটক ফ্রি ইন্টারনেট দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু করা হবে । বিটিসিএল ১২ হাজার ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করছে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমি কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ফাহিম রাজ্জাক, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো : সিরাজ উদ্দিন, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ও মফিজুর রহমান এবং ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের রুরাল ই-কমার্স টিম লিডার রেজোয়ানুল হক জামি ।