টাকা দিয়ে সব কিছু টিকিয়ে রাখা গেলেও টিকিয়ে রাখা যায় না প্রকৃত ভালোবাসা । সংসার জীবনে টানা-টানি, মনোমালিন্য আসবেই । তাই বলে ডিভোর্স ?
কী ঘটেছিলো মেলিন্ডা গেটসের সাথে ?
শুরু টা সেই ১৯৮০ সালে । প্রথম পরিচয় ঘটে তাদের দুজনের । দুজনের মাঝে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক । অতঃপর এক পর্যায় শত বাধা উপেক্ষা করে বিয়ে । তাও আবার ১৪ বছর পর ! চৌদ্দ বছর একটা সম্পর্ক কেও কিভাবে টিকিয়ে রাখতে পারে, তা যেনো এ জামানার যুবকেরা বিল গেটস এর কাছ থেকে শিখে আসে । কিন্তু মিডিল এজারদের জন্য রিকমান্ডের না । কারণ বিল গেটস নিজেই টিকিয়ে রাখতে পারেননি তার ১৪ বছরের ভালোবাসাকে ।
তবে কে ছিল ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙ্গে ফেলার নেপথ্যে?
সম্প্রতি তারা দুজনই নিজেদের টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে বিষয়টি সকলের কাছে নিশ্চিত করেছেন । দাম্পত্যজীবনে ভাঙ্গন দেখা দিলেও , নিজেদের প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান দুজনের পরিচালনায় চলবে দুজনের টুইটারের সারমর্ম একটাই । দম্পতি হিসেবে তাদের পক্ষে থাকা সম্ভব হচ্ছে না ।
অবশ্য বিচ্ছেদের পরে বড় অংকের এই সম্পত্তি কিভাবে বন্টন হবে সে ব্যাপারে কেউই মুখ খোলেননি । উভয়পক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের বিবৃতিও মেলেনি এ বিষয়ে ।
দুজনের পরিচালনায় যে দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা একটি নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠান। যেটি কিনা বিশ্বব্যাপী অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংক্রমণ ব্যাধি নিরাময় এবং দেশের প্রত্যেকটি শিশুকে টিকা আওতায় আনার কাজ করে থাকে । জানা যায় বিলগেটস সম্প্রতি একটি উইল করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, বিল গেটস এর মৃত্যুর পর 90% সম্পত্তি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করা হবে । এবং বাকি 10% শতাংশ বিল গেটসের তিন সন্তান এবং তার স্ত্রী এর মধ্যে সমভাগে বন্টন করা হবে । তবে বিচ্ছেদের পর সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের হেরফের হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।