অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে বর্তমানে যেসব অবৈধ হ্যান্ডসেটে সংযোগ চালু আছে সেগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।
সোমবার বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম এসব তথ্য জানান।
অনিবন্ধিত ও নকল মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেশে এই প্রথম ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। বিটিআরসি এরই মধ্যে বৈধ ফোনগুলোর একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করেছে। আগামী ৯ জুনের মধ্যে এনইআরআইআর-এর ইনস্টলেশন কাজ সম্পন্ন হতে পারে। তবে অবৈধ মোবাইল শনাক্তের প্রক্রিয়া ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে প্রবেশ করেছে বা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। গ্রাহকরা যে সব অননুমোদিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার শুরু করেছেন, জুলাইয়ের আগে তাদের এনআইআরআইপি নিবন্ধন কার্যক্রমের অনুমোদনের আওতায় আনা হবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, তাদের তথ্যভান্ডারে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি আইএমইআই নম্বর সংযোজন করা হয়েছে। ৭ কোটি ১৯ লাখ মুঠোফোন সেটের তথ্য রয়েছে। ১ জুলাই থেকে এনইআইআর চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা মুঠোফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এরপরে যেসব মোবাইল দেশে নিয়ম মেনে ঢুকবে না, সেগুলো সচল হবে প্রক্রিয়া মেনে।
এনআইইআর নিবন্ধন প্রোগ্রামটি ক্লোনিং ও চুরি রোধ এবং রাজস্ব আদায়ে সহায়তা করবে বলে মনে করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে প্রচারণা পরিচালনা শুরু করবো।