নম্বর, চিহ্ন ও অক্ষর দিয়ে জটিল পাসওয়ার্ড তৈরির পরিবর্তে তিনটি ভিন্ন ও এলোমেলো শব্দ নির্মিত পাসওয়ার্ড অধিক সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
এক ব্লগপোস্টে যুক্তরাজ্যের সরকারি যোগাযোগ সদর দপ্তরের অংশ ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) জানায়, তিন শব্দের মাধ্যমে যে পাসওয়ার্ড তৈরি করা হয় তা সহজে মনে রাখা যায়।
পাশাপাশি এটি অক্ষরের অস্বাভাবিক একটি সংমিশ্রণ তৈরি করে, যার ফলে অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলো সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে অধিক জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার খুব একটা কার্যকর না। কেননা হ্যাকাররা বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে পাসওয়ার্ডের ধরন বুঝে ফেলতে সক্ষম হয়।
সংস্থাটি জানায়, হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে হ্যাকারদের অনুমান কৌশলের কারণে বর্তমান সময়ে অনলাইনসহ সব মাধ্যমে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ ইংরেজি অক্ষর ও-এর পরিবর্তে শূন্য ব্যবহার করা কিংবা ১ সংখ্যার পরিবর্তে বিস্ময়সূচক চিহ্নের ব্যবহার।
হ্যাকাররা তাদের সফটওয়্যারে এ ধরনের প্যাটার্ন রিড করার অনুমতি দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ওই পাসওয়ার্ডের সঙ্গে জড়িত অতিরিক্ত কোনো নিরাপত্তা স্তরকেও অতিক্রম করে।
সংস্থাটি জানায়, পাসওয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে এ রকম জটিলতার ব্যবহার হ্যাকারদের হ্যাকিংয়ে আরো সুবিধা করে দেয়।
বিপরীতে তিনটি ভিন্ন শব্দের ব্যবহারে পাসওয়ার্ড তৈরি করা হলে সেগুলো দীর্ঘ হয় এবং সহজে অনুমান করা সম্ভব হয় না। সেই সঙ্গে অক্ষর সংমিশ্রণের কারণে সফটওয়্যারের হ্যাকিং অ্যালগরিদম সহজে শনাক্ত করতে পারে না বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু সবসময় তিনটি শব্দ ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করা শতভাগ নিরাপদ নয় বলেও ব্লগপোস্টে স্বীকার করা হয়েছে। কারণ অনেক মানুষ সহজে মনে রাখার জন্য বেশি ব্যবহার্য শব্দ পছন্দ করে। তবে সংস্থাটি এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হিসেবে এর ব্যবহারযোগ্যতাকে নির্দেশ করেছে। কারণ সিকিউরিটি পদ্ধতি যদি ব্যবহারযোগ্য না হয় তাহলে সেটি কাজ করবে না।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের তথ্যানুযায়ী, করোনা মহামারীর মধ্যে সাইবার হামলার পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।