সম্প্রতি ‘সাইবারডগ’ নামের নিজেদের চার পেয়ে রোবট কুকুরের ব্যাপারে জানিয়েছে শাওমি। ডেভেলপাররা যাতে এটি নিয়ে কাজ করতে পারেন এবং এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে, সেজন্য রোবট কুকুরটিকে তাদের সঙ্গে পরিচয়-ও করিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শাওমি’র রোবট কুকুরটির সঙ্গে বস্টন ডায়নামিক্সের রোবট ‘স্পট’ এর মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট। সাইবারডগের মূলে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এআই সুপার কম্পিউটার খ্যাত এনভিডিয়ার জেটসন জাভিয়ের এনএক্স।
সবমিলিয়ে ১১টি সেন্সর রয়েছে সাইবারডগের ‘শরীরে’। এর মধ্যে স্পর্শ এবং আল্ট্রাসনিক সেন্সরও রয়েছে। এ ছাড়াও রোবটটি যাতে “পরিবেশের সঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া” সম্পন্ন করতে পারে, সেজন্য জিপিএস এবং ক্যামেরা রয়েছে এতে।
শাওমি বলছে, প্রযুক্তিটি সাইবারডগকে নিজ মালিককে অনুসরণ করতে এবং প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করার মতো কার্যকরী। এ ছাড়াও অঙ্গভঙ্গি শনাক্ত বা মানব মুখ ট্র্যাকিংয়ের কাজ করতেও সক্ষম এটি। ফলে এক দল ব্যক্তির মধ্য থেকে একজনকে সহজেই খুঁজে নিতে বা ট্র্যাক করতে পারবে সাইবারডগ।
সাধারণ পণ্য হিসেবে সাইবারডগ বিক্রি করছে না শাওমি। আপাতত এরকম এক হাজারটি রোবট কুকুর “শাওমি ভক্ত, প্রকৌশলী এবং রোবোটিক্স আগ্রহীদের” দেওয়া হবে, যাতে তারা “যৌথভাবে সাইবারডগের অপরিমেয় সম্ভাবনা অন্বেষণ করে দেখতে পারেন”।
তবে, বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে না রোবটটি। আগ্রহীদেরকে নয় হাজার নয়শ’ ৯৯ ইউয়ান বা প্রায় দেড় হাজার ডলার খরচ করতে হবে।
শাওমি আয়োজিত এক ‘ওপেন-সোর্স কমিউনিটির’ উপর গোটা প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করার ভার থাকবে। পরে হয়তো “ভবিষ্যত উদ্ভাবনের” লক্ষ্যে গড়ে তোলা হবে রোবোটিক্স ল্যাব।