শক্তিশালী কর্মক্ষমতা ও কম বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে কম্পিউটারের চিপ বাজারে ভালো সাড়া ফেলেছে অ্যাপলের এমওয়ান চিপ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর নতুন প্রজন্মের চিপ আনার ঘোষণা দিয়েছে এ মার্কিন টেক জায়ান্ট। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ফোনএরেনা প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, যেখানে বিশ্বের অন্যান্য চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বাড়াতে ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে নতুন চিপ দিয়ে বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে অ্যাপল।
তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) ৫ ন্যানোমিটার প্রসেস নড ব্যবহার করে এমওয়ান চিপ উৎপাদন করেছিল অ্যাপল। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, এমটু চিপে টিএসএমসি ৪ ন্যানোমিটার প্রসেসর নড ব্যবহার করা হতে পারে।
৪ ন্যানোমিটার প্রসেস নড ব্যবহারে চিপ উৎপাদন করা হলে এটি বিগত চিপগুলোর তুলনায় আরো অধিক কার্যক্ষম ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। টিএফ ইন্টারন্যাশনালের বিশ্লেষক মিং চিং কুও বলেন, আগামী বছর অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ারের সঙ্গে এমটু চিপ আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে উন্মুক্ত করা হবে।
এমটু চিপে মোট আটটি কোর থাকবে। যার চারটি উচ্চ পারফরম্যান্স কোর এবং চারটি এনার্জি এফিশিয়েন্ট কোর। এছাড়াও এ প্রসেসরে উন্নত গ্রাফিক্স কোরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে। এর বাইরে মার্কিন এ টেক জায়ান্ট এমওয়ান চিপের হাই পারফরম্যান্স ভার্সন এমওয়ানএক্স উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে। এ প্রসেসরে ১০টি কোর ও ভালো গ্রাফিক্স পারফরম্যান্সের জন্য ৩২টি জিপিউ কোর দেয়া হতে পারে। ২০২১ সালের ম্যাকবুক প্রোর সঙ্গে নতুন এ চিপ ছাড়া হতে পারে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। তবে দুটি প্রসেসরই বাজারে ছাড়া হবে কিনা, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি অ্যাপল। যদি দুটি প্রসেসর বাজারে ছাড়া হয়, তাহলে বর্তমানে বাজারের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে।
এদিকে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের এ ও এম সিরিজের অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর বিক্রিতে ৫৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের নিজস্ব এ ও এম সিরিজের চিপের বিক্রি থেকে আয় এবং মোট মুনাফায় দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকসের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপল ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের এ ও এম সিরিজের চিপ রফতানি করেছে।
প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের প্রসেসর বিক্রির মুনাফার সিংহভাগজুড়ে ছিল আইফোন। প্রসেসর থেকে অ্যাপল যা আয় করেছে, সেখানে আইফোনের অবদানই ছিল ৬৪ শতাংশ।