মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতিতে বিটকয়েনের পালে লেগেছে নতুন হাওয়া। তিন মাসের মন্দার পর আবারও বাড়ছে দাম। ৫০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে বিটকয়েনের বাজার মূল্য।
মে মাসে চীন সরকারের কড়াকড়ি আরোপ এবং টেসলা প্রধান ইলন মাস্কের বিটকয়েন গ্রহন না করার ঘোষণার পর থেকে মন্দা চলছিলো ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে।
তবে মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে বিটকয়েন লেনদেনে অংশগ্রহণ করায় সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রতিটি বিটকয়েনের লেনদেন হয়েছে ২৭ হাজার সাতশ’ ডলারে। সেই তুলনায় এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বেড়েছে ৮১ শতাংশ।
২৩ অগাস্ট বিটকয়েনের বাজার দর তিন শতাংশ বেড়ে ৫০ হাজার দুইশ’ ৬৬ ডলারে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে বিবিসি। একই দিনে ইথার কয়েনের দাম বেড়েছে চার শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের গ্রাহকদের জন্য বিটকয়েন বেচাকেনার সেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে পেপাল। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথমবারের মতো নিজেদের ক্রিপ্টো লেনদেন সেবা চালু করছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই ঘোষণার পর ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটির বেশি সেবাগ্রাহক আছে পেপালের। লেনদেন ও গ্রহনযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে এটি বিবেচিত।
এই প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটস-এর মাইকেল হিউসন বলেন, “এই ঘটনা একটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের ক্রমশ মূল ধারায় চলে আসা ক্রিপ্টোর ব্যবহারকে গ্রহনযোগ্যতা দেওয়ার আরেকটি উদাহরণ বলে মনে হচ্ছে”।
অন্যদিকে, মার্কিন অর্থনীতিতে বিটকয়েনের ব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমর্থন থাকায় ক্রিপ্টোকারেন্সিটির গ্রহনযোগ্যতা আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। সুদের হার রেকর্ড পর্যায়ে কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, ফলে তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বিটকয়েনের এই ঊর্ধ্বমুখী গতিতে, “ঠাণ্ডা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত” দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কেটস ডটকমের নিল উইসন। তবে, স্বল্প সময়ের জন্য দামের কিছু হেরফের অপ্রত্যাশিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিটকয়েন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লেও ক্রিপ্টোকারেন্সিটি এখনও “নাজুক ডিজিটাল মুদ্রা” বলে মন্তব্য করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠার ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ড্যান আইভস।