চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে, এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে ৫জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারজাতকরণে শীর্ষ অবস্থান অর্জন করেছে বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। সম্প্রতি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের হিসাব বলছে, বিগত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভিভো’র স্মার্টফোন বাজারজাতকরণে প্রবৃদ্ধির হার ২১৫ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি। এবারই প্রথম কোনো প্রান্তিকের হিসাবে, এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫জি স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এলো ভিভো।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ অঞ্চলে ৫জি স্মার্টফোনের বাজারে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল ভিভো’র, অর্থাৎ বাজারে আসা প্রতি পাঁচটি স্মার্টফোনের একটি ভিভো।
গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও স্মার্টফোন বাজারের ১৩ শতাংশ ছিল ভিভো’র দখলে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভিভো’র পরের অবস্থানে আছে চীনের আরেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমির মি ব্র্যান্ড। স্মার্টফোনের বাজারের ১৯ শতাংশ মি ব্র্যান্ডের দখলে। এরপর আছে যথাক্রমে অপ্পো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামস্যাং।
বছরের প্রথমদিকে এক প্রতিবেদনে স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্স জানিয়েছিল, বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত ক্রমবর্ধমান ৫জি ব্র্যান্ড ভিভো। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও বাজারে সুসংহত অবস্থানে ছিল প্রতিষ্ঠানটি।
আরেক বাজার গবেষণার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশনের (আইডিসি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোনের বাজারেও শীর্ষস্থান দখল করেছে ভিভো। কেবল চীন নয়, বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারেও অবস্থান দৃঢ় করছে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে নিজেদের প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ভিভো। ৪০ কোটির বেশি গ্রাহক ব্যবহার করছেন ভিভো’র স্মার্টফোন।
৫জি প্রযুক্তিতে সাড়া জাগানো উন্নতি, বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের মনন, রুচি ও সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে স্মার্টফোন তৈরি এবং বাজারজাত; সবকিছুই চমৎকারভাবে করে চলেছে ভিভো। ফলে ক্রেতারা এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোনের প্রতি আগ্রহী হন এবং ব্যবহার করে সন্তুষ্ট থাকেন।