তথ্য পাচারের অভিযোগে চীনা ফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে–ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে এনক্রিপ্টেড অবস্থায় আলাদা সার্ভারে পাঠাচ্ছে চীনা স্মার্টফোনগুলো। বিশেষ করে এই অভিযোগ উঠেছে চীনের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে আরেক স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়েকে নিয়েও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শাওমির ফোনে বিল্ট-ইন সেন্সরশিপ ফিচার এবং হুয়াওয়ের ফোনে নিরাপত্তা দুর্বলতার বিষয়টি উঠে এসেছে লিথুনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইউরোপে বাজারজাতকৃত শাওমির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ‘তিব্বত মুক্ত করো (Free Tibet) ’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক (Long live Taiwan independence) ’ এবং ‘গণতন্ত্র আন্দোলন (democracy movement) ’-এর মতো স্লোগান চিহ্নিত করে সেন্সর করার বিল্ট-ইন ক্ষমতা আছে।
লিথুয়ানিয়া সরকার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপীয় বাজারের জন্য সেন্সরশিপ ফিচারটি বন্ধ করে রাখা হলেও সেটি যে কোনো সময় দূর থেকে চালু করে দেওয়া সম্ভব।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্সকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি শাওমি। এই অভিযোগ হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, তাদের গ্রাহকদের কোনো তথ্য বাইরে পাচার করে না।
সম্প্রতি চীন এবং লিথুনিয়ার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। গতমাসে লিথুয়ানিয়ায় তাইওয়ান নিজস্ব মিশনের নামকরণ করা হয়, ‘তাইওয়ান রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস’। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বেইজিং থেকে ফিরিয়ে নিতে বলে চীন। লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি ফিরিয়ে আনার হুমকিও দিয়েছিল চীন সরকার।
চীন তাইওয়ানকে নিজস্ব দ্বীপ বলে দাবি করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই পরিস্থিতির কারণে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের মিশনগুলো তাইপে শহরের নাম ব্যবহার করে।