দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশে বিনিয়োগ করেছে সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড ২। বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরো সমৃদ্ধ করতে সফটব্যাংক বিনিয়োগ করেছে।
বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিকাশের গ্রাহকবান্ধব প্ল্যাটফর্মকে আরো শক্তিশালী করবে এই বিনিয়োগ।
প্রতিষ্ঠাতা বিনিয়োগকারী ব্র্যাক ব্যাংক ও মানি ইন মোশন এলএলসি এর যৌথ অংশীদারিত্বে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠান বিকাশ এখন নানা ধরনের মোবাইল আর্থিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শক্তিশালী এজেন্ট নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সব গ্রাহকের জন্য সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এজেন্ট ও তাঁর পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বিকাশ। বর্তমানে বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬০ লাখ।
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, গত ১০ বছরের নিরন্তর প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট রেগুলেশনের আওতায় প্রযুক্তিভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আস্থা অর্জন করেছে। এই বিনিয়োগ তারই এক স্বীকৃতি এবং বিকাশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে আস্থার নিদর্শন। বিনিয়োগটি আমাদের দেশ ও এর অর্থনীতির সফল ডিজিটাল রূপান্তরেরই একটি উদাহরণ। আমরা আশা করি, একই ভাবে দেশের অন্যান্য সফল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরাও বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারবেন।
সফটব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজারস এর ম্যানেজিং পার্টনার গ্রেগ মুন বলেন, শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরিতে আর্থিক সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরী। আমরা বিশ্বাস করি, একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে বিকাশ বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে।
তিনি আরো বলেন, কামাল কাদীর এবং বিকাশ এর সাথে অংশীদারিত্বে আমরা আনন্দিত। সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের বৃহত্তর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বিকাশের লক্ষ্যের সহাযোগী হিসেবে থাকতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের।
গত এক দশকের যাত্রায় ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাংকের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, ২০১৪ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ২০১৮ সালে অ্যান্ট গ্রুপ বিকাশে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়।