শিশুরা যদি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করে তবে তাদের ক্রুটিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া এই কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি ছাড়াও আত্মহত্যার প্রবণতার আশঙ্কাও দেখা দেয় বলে দাবি করা হয়েছে এক গবেষণায়।
কানাডার ওট্টাওয়া পাবলিক হেলথ’য়ের হুগেসস সাম্পাসা-কানিঙ্গা এবং রোসামান্ড লুয়েসের করা এক গবেষণায় এ দাবি করা হয়েছে। গবেষণার জন্য ‘অনটারিও স্টুডেন্ট ড্রাগ ইউজ অ্যান্ড হেলথ সার্ভে’য়ের সপ্তম থেকে দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাইবারসাইকোলজি, বিহেইভিয়ার অ্যান্ড সোশাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণা দেখা যায়, দেড় শতাংশ শিক্ষার্থীই দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, শিশুর ফেসবুক ব্যবহারের এই ফলাফল বাবা-মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ওয়েবসাইটগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর উদ্যোগের পরামর্শও দেন তিনি।
তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ব্রেন্ডা কে. উইডারহোল্ড বলেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কারও জন্য সমস্যা আবার কারও জন্য সমাধান হিসেবে দেখতে পাই। তরুণরা এই সাইটগুলো ব্যবহার করেন, তাই তাদের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এটি একটি কার্যকর মাধ্যম।