অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কবির আহমেদ ও তার স্ত্রী নীলুফার আহমেদ বেশ কয়েক বছর যাবত বার্ধক্যজনিত বাতের ব্যাথায় ভুগছেন। শীতকালে এই ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায় বহুগুণ। ভারী জিনিস উত্তোলনসহ যেকোনো ভারী কাজ করায় চিকিৎসকের বারণ থাকায় শীতকালে গোসল কিংবা ওযু করার সময় বাড়িতে কেউ না থাকলে বাথরুমে উষ্ণ পানি পেতে তাদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হতো। আবার, গরম পানি ব্যবহার না করলে ঠাণ্ডায় সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এসব সমস্যার কথা ভেবে, সম্প্রতি, এই দম্পতির একমাত্র সন্তান নিলয় বাবা-মার সুবিধার জন্য কিনে আনেন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার। ওয়াটার হিটারের কল্যাণে যখন-তখন পানি গরমের সমস্যার সহজ সমাধান পেয়েছেন এই পরিবারটি।
কবির আহমেদ ও নীলুফার আহমেদের মতো অসংখ্য বয়স্ক দম্পতি শীতকালে হাতমুখ ধোয়া ও গোসলের জন্য চুলায় পানি গরম করা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। তবে, আধুনিক প্রযুক্তির ওয়াটার হিটার এসব মানুষের জীবন অনেকটাই সহজ করে তুলেছে। ওয়াটার হিটারের ফলে বার বার চুলায় পানি গরম করার প্রয়োজন পড়েনা এবং বাথরুমে ভারি পাতিলে গরম পানি বহনের ঝক্কি পোহাতে হয় না।
আবার, শীতের আগমনের সাথে ঋতু পরিবর্তনের ফলে অনেকে সহজে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হন। আর অতিরিক্ত ঠাণ্ডা যেকোনো মানুষকেই অসুস্থ করে ফেলতে পারে। বিশেষ করে, বয়সের সাথে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আসায় শীতকালের কম তাপমাত্রার সাথে অনেক বয়স্ক মানুষের শরীর সামঞ্জস্য করতে পারে না এবং তারা নানাবিধ রোগে খুব সহজে আক্রান্ত হন। শীতে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হাইপোথারমিয়া বা শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হ্রাস, যাতে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। আবার, বয়স্ক মানুষদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে গেলে হার্ট অ্যাটাক, কিডনির জটিল সমস্যা, লিভারের ক্ষতিও হতে পারে। তাই, শীতের সময় বয়স্ক মানুষদের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং গোসলসহ দৈনিক কাজে কুসুম গরম পানি ব্যবহারের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
শুধু বয়স্ক মানুষই নয়, শীতকালে শিশুদের মধ্যেও অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও ধুলাবালি থাকার কারণে মূলত শিশুরা সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। ফলে, শীতকালে শিশুদের বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় এবং তাদের পরিষ্কার রাখতে গরম পানি ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতন হতে হয়। অন্যদিকে, কোভিডের ফলে বার বার হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে, শীতকালে যেকোন সময় গরম পানি এখন অপরিহার্য। আর এর সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার।
সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি, ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার সাশ্রয়ীও বটে। বর্তমানে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। আর সরকার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে এলপিজি’র ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি এলপিজি’র মূল্য বৃদ্ধি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে। চুলায় পানি গরম করতে হলে সিলিন্ডার গ্যাস বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, যা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। ওয়াটার হিটার কিনলে এক্ষেত্রে ব্যয় অনেকখানি কমে যায়।
যেকোনো ইলেকট্রনিক পণ্যের মতো ওয়াটার হিটার কেনার ক্ষেত্রেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, দীর্ঘস্থায়ীত্ব ও সহজ ব্যবহার পদ্ধতির দিকে নজর দেয়া উচিত। গুণগত মানের দিক থেকে বাজারে এগিয়ে রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যের সিঙ্গার ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার, যাতে রয়েছে স্টেপলেস ইলেকট্রনিক পাওয়ার কন্ট্রোল, বিল্ট-ইন লাইটনিং সার্জ প্রোটেক্টর ও আরসিডি রেসিড্যুয়াল কারেন্ট ডিভাইস। ট্রিপল সেফটি প্রোটেকশন থাকায় ওভার হিটিং নিয়ে কোনরূপ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এই আরওএইচএস কমপ্লায়ান্স প্রোডাক্টটি সীসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম, হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম, পিবিবি ও পিবিডিই মুক্ত, ফলে পানির মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত সিঙ্গার ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটারের বাজারদর মাত্র ১১,৯৯০ টাকা। এতে এক বছরের ওয়্যারেন্টিও থাকছে।