ব্যবহারকারীদের জন্য টিমস এসেনশিয়াল ফিচার চালু করেছে মাইক্রোসফট করপোরেশন। প্রথমবারের মতো উন্মোচন করা ফিচারটি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
হাইব্রিড কর্মপরিবেশে দক্ষতা বৃদ্ধি, সংযুক্ত থাকা ও সমন্বয়ের জন্য ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাশ্রয়ী মিটিং সুবিধা দেবে টিমস এসেনশিয়াল। এর মাধ্যমে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত অনবরত গ্রুপ মিটিং, ৩০০ অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মিটিং করা যাবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য ১০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাসহ পেশাদার মিটিং পরিচালনার সুবিধাও রয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন মেটাতে টিমসের ফ্রি ভার্সনে যেসব সুবিধা রয়েছে সেগুলোর পাশাপাশি নতুন কিছু বিষয়ও থাকবে। এর মধ্যে একটি হলো ই-মেইল ব্যবহারের মাধ্যমে ইনভাইটেশন পাঠানোর সুবিধা। এক্ষেত্রে মিটিংয়ে ব্যবহারকারীদের সাইন আপ, সাইন ইন কিংবা টিমস ইনস্টল করতে হবে না।
মিটিং লবি, ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড, টুগেদার মোড, লাইভ ক্লোজড ক্যাপশন ও লাইভ রিঅ্যাকশনের মতো প্রফেশনাল মিটিং টুলস ও ফিচার ব্যবহারকারীদের আরো উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে করবে। মাইক্রোসফট টিমসের চ্যাট ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সবসময় যোগাযোগ করতে পারবেন। আউটলুক ক্যালেন্ডারের সংযোজন ছাড়াও টিমস এসেনশিয়ালে গুগল ক্যালেন্ডার সংযোজনের মাধ্যমে খুব সহজেই মিটিংয়ের সময় ঠিক করা যাবে।
বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুপ ফারুক বলেন, কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী আমাদের যোগাযোগ পদ্ধতিকে নতুন রূপ দিয়েছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ টুল ও প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই ক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে। পাশাপাশি তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন মাইক্রোসফট টিমস এসেনশিয়াল তৈরি করা হয়েছে।
মাইক্রোসফটের মডার্ন ওয়ার্কের করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাড স্পেটারো বলেন, গত ২০ মাস ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় টুল ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে কম সক্ষমতা নিয়েও তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কাজ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা পূরণেই টিমস এসেনশিয়ালস তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের নতুন সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সক্ষম করে তুলবে।