মজিলা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে সংস্থাটি। তবে এবার বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ক্রিপ্টোটোকেন ব্যবহার করে অনুদানের আহ্বান জানিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে এ টেক জায়ান্ট। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থার বিপরীতে ক্রিপ্টো মুদ্রা ব্যবস্থা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিশ্বব্যাপী, তখন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মজিলা ফাউন্ডেশন। বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় সংস্থাটি।
টেক ক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশের ওপর ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে স্বীকার করেছে মজিলা ফাউন্ডেশন। ক্রিপ্টো মাধ্যমে অনুদান গ্রহণসংক্রান্ত বর্তমান নীতিমালা তাদের জলবায়ুসংক্রান্ত লক্ষ্যবস্তুগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এক টুইটে মজিলা ফাউন্ডেশন জানায়, তাদের কাজের একটি বড় ক্ষেত্র হিসেবে বিকেন্দ্রীকৃত ওয়েব প্রযুক্তি বরাবরের মতোই গুরুত্ব পাবে, কিন্তু ক্রিপ্টোয় অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে অনেক কিছুই বদলে গেছে। এছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তা শিগগিরই জানানো হবে বলে অঙ্গীকার করেছে মজিলা ফায়ারফক্সের দেখভালকারী সংস্থাটি।
মজিলা ফায়ারফক্সে ব্যবহূত ইঞ্জিন গেকোর প্রতিষ্ঠাতা পিটার লিন্সও এ-সংক্রান্ত আলোচনায় যোগ দিয়ে বলেন, মজিলার এর চেয়ে ভালো হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বিরোধিতার মুখে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা মজিলাই একমাত্র বড় প্রতিষ্ঠান নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে গাড়ির দাম পরিশোধের সুবিধা চালুর কয়েক মাসের মধ্যেই তা বাতিল করতে বাধ্য হয় আরেক টেক জায়ান্ট টেসলা। ক্রিপ্টোটোকেনগুলোর তৈরি পদ্ধতি যে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। বিটকয়েন ও ইথিরিয়াম তাদের নেটওয়ার্ক চালাতে এবং বিনিময় উপযোগী মুদ্রা তৈরিতে প্রুফ অব ওয়ার্ক নামে একটি মেকানিজম ব্যবহার করে। কয়েক বছরে তাদের নেটওয়ার্কের পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়াটি আরো জটিল হয়েছে।