গত বছরের অক্টোবরে ৩৮ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর)-এর উপর একনীতি কৌশল গ্রহণ করার পর, ‘এম্ব্রেসিং দা ৪আইআর: আউটলুক, স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড প্ল্যানস ফর আসিয়ান’ শীর্ষক একটি বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করে আসিয়ান। ওয়েবিনারে প্রকাশিত পরিকল্পনা কৌশলটিতে তৎকালীন ৭৩টি ৪আইআর সম্পর্কিত উদ্যোগের কথা বলা হয় যা পরবর্তীতে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ পরিকল্পনাটি সফলভাবে বাস্তবায়নে আবারও সহযোগিতার আশ্বাস জানিয়েছে হুয়াওয়ে।
ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন সাতভিন্দার সিং, আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এইচ.ই. উইল নানকারভিস, আসিয়ানের অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূত। তাদের উদ্বোধনী বক্তব্যের পাশাপাশি ওয়েবিনারে বিভিন্ন আসিয়ান স্টেকহোল্ডার তাঁদের বক্তব্য রাখেন। এখানে ছিলেন ডিকি এডউইন হিন্দার্তো, ইন্দোনেশিয়া জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের উপদেষ্টা, শার্লিনি এরিজা পুত্রি, নুস্যান্টিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, অমরতি শ্যারোফ্যান, আসিয়ান ডিরেক্টর ফর টেকস্টারস থাইল্যান্ড/ ইমপ্যাক্ট কালেক্টিভ, ডাঃ লি হোয়াং ডুং, অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান টিচার এডুকেশন নেটওয়ার্কের চেয়ার এবং ডেভিড লু, প্রেসিডেন্ট, স্ট্র্যাটেজি মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন।
যদিও আসিয়ান সাধারণভাবে একটি চমত্কার বৃদ্ধির হার অর্জন করেছে, তবুও এখনও অনেক দিক আছে যা উন্নত করা দরকার, বলেন সাতভিন্দার সিং, আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল। তাদের মধ্যে একটি হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (AI) বিনিয়োগ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো দেশের বিনিয়োগের তুলনায় এখনও অনেক কম (অর্থাৎ ২০১৫ এবং ২০১৯ -এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মাথাপিছু যথাক্রমে ১৫৫ ও ২১ ডলার বিনিয়োগের বিপরীতে আসিয়ান-এ মাথাপিছু ২ ডলার বিনিয়োগ)।
তিনি আরও বলেন যে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ৪আইআর-কে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতার ইঞ্জিন হিসাবেই ব্যবহার করবে না বরং এর অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্বকেও উন্নীত করবে।
ডেভিড লু, প্রেসিডেন্ট, স্ট্র্যাটেজি মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন, বলেন, “একটি আন্তঃসংযুক্ত আসিয়ান তৈরি করতে এবং ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনতে এই অঞ্চলে আমাদের সহযোগিতার পদচিহ্ন যোগ করতে চায় হুয়াওয়ে। আসিয়ান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং ডিজিটাল প্রতিভা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। একসাথে নির্ভরযোগ্যতা, দ্রুতি, আরও কার্যকর ও দক্ষ উত্পাদন, এবং প্রতিটি শিল্পে ডিজিটাল রূপান্তরের সুবিধা আনতে আমরা দৃঢ় পরিকল্প। তাছাড়া, আমরা একটি সবুজ, কার্বন নিরপেক্ষ, এবং টেকসই অর্থনীতিতে রূপান্তর করব।”
আজ অবধি, বন্দর, খনি এবং শিক্ষা শিল্প সহ বিশ্বের সব শিল্পক্ষেত্র জুড়ে সব ৫জি প্রকল্পের অর্ধেক বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে অবদান রেখেছে।
শার্লিনি এরিজা পুত্রি বলেন “স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি অনেক দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং একইসাথে এদের প্রচলিত পদ্ধতিগুলির পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। আসিয়ান যুবকদের অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ বর্ণনায় অংশ নিতে হবে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মতো জটিল সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে। তাই, আসিয়ান-এ স্বদেশী স্টার্টআপগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করতে হবে।”
হুয়াওয়ের স্টার্টআপের জন্য বিশেষভাবে একটি প্রধান প্রোগ্রাম রয়েছে, যার নাম হুয়াওয়ে ক্লাউড স্পার্ক, যা ২০২০ সালের আগস্টে চালু করা হয়েছিল। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে, ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন স্টার্টআপগুলির উত্থানের জন্য একটি সহায়ক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হুয়াওয়ে সরকার, নেতৃস্থানীয় ইনকিউবেটর, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে মিলিত হয়ে কাজ করে। সম্প্রতি, বিআইএসএ এআই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অউডুপ্র ইন্দোনেশিয়া এবং ইউপিএন ভেটেরান ইন্দোনেশিয়া কম্পিউটার সাইন্স স্টাডি সেন্টার -এর সাথে হুয়াওয়ে একটি এআই ক্রিয়েশন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে যা তরুণদেরকে চ্যালেঞ্জ করে এআই প্রযুক্তি সমাধানের সাথে একটি স্টার্টআপ ডিজাইন করতে উৎসাহিত করে।