‘পিক পারফর্মেন্স’ আয়োজনে তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন এসই উন্মোচন করেছে অ্যাপল। নতুন এসই-তে আছে ৫জি সংযোগ সুবিধা আর আইফোন ১৩’র এ১৫ বায়োনিক চিপ।
প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে আগেই গুজব রটেছিল, ৮ মার্চের ‘পিক পারফর্মেন্স’ আয়োজনে অ্যাপল তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন এসই দেখাবে এবং তাতে ৫জি সংযোগ সুবিধা থাকবে। অ্যাপল শুধু সেই গুজবকে সত্যি প্রমাণ করেনি, হাজার ডলার দামের বিলাসবহুল স্মার্টফোনের পুরো চিন্তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
আইফোন এসই’র ২০২২ সংস্করণের পর্দার আকার ৪.৭ ইঞ্চি। এর ৬৪ জিবি মডেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২৯ ডলার, যা এসই’র আগের সংস্করণটির চেয়ে ৩০ ডলার বেশি। পেছনের প্যানেলে আছে ১.৮ অ্যাপারচারের ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ক্যামেরা রেজুলিউশন আর স্ক্রিনের আকার ‘কম্প্যাক্ট’ মনে হলেও, প্রসেসর আর সফটওয়্যারভিত্তিক অগ্রগতির কারণে নতুন আইফোন এসই-কে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর চিপের পাশাপাশি নতুন এসই-তে আছে ‘ডিপ ফিউশন’ এবং ‘এইচডিআর৪’ ফিচার। ‘নয়েজ’ কমিয়ে ‘হাই কনট্রাস্ট’ ছবি তোলা সহজ করে তোলে আইফোন ১৩’র ফিচার দুটি।
এ ছাড়াও এ১৫ বায়োনিক চিপের সুবাদে নতুন এসই’র ব্যাটারি আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল, আগের সংস্করণের তুলনায় এটি আকারেও বড়। আইফোন এসই’র আগের সংস্করণের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো এর ব্যাটারিকেই।
অ্যাপল বলছে, সম্পূর্ণ চার্জ করা অবস্থায় এক টানা ১৫ ঘণ্টা ভিডিও দেখা যাবে নতুন এসইতে, ভিডিও স্ট্রিম দেখা যাবে টানা ১০ ঘণ্টা, আর গান শোনা যাবে টানা ৫০ ঘণ্টা।
ভার্জ বলছে, এই সবকটি ফিচারের বেলাতেই আগের সংস্করণের চেয়ে অনেকখানি এগিয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের এসই। ডিভাইসটির আগের সংস্করণটিতে ভিডিও দেখা যেত একটানা ১৩ ঘণ্টা, ভিডিও স্ট্রিম দেখা যেত ৮ ঘণ্টা আর গান শোনা যেত ৪০ ঘণ্টা।
আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ফোন আনলক করার জন্য নতুন এসই-তে আছে ‘টাচ আইডি’ সেন্সর। আর ডিভাইসের সামনের ও পেছনের গ্লাসকে “স্মার্টফোনের বেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী গ্লাস” বলে আখ্যা দিয়েছে অ্যাপল। ম্যাগসেইফ ফিচার না থাকলে ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা আছে এতে।
১১ মার্চ থেকে ডিভাইসটির প্রিঅর্ডার নেওয়া শুরু করবে অ্যাপল। বাজারে ডিভাইসটির আনুষ্ঠানিক অভিষেক হবে ১৮ মার্চ।