ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মের মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে।
ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বড় হাতিয়ারের নাম রোবটিক্স, এআই, আইওটি, ব্লকচেইনসহ বিভিন্ন আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মের মেধাবী জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি সম্পর্কিত শিক্ষা বিশেষ করে স্ক্র্যাচ ও অন্যান্য প্রোগ্রামিং শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মেধাবী তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে নিতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার বুধবার বিকেলে ঢাকায় বিডি গার্লস কোডিং কন্টেস্ট ২০২২’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের উপযোগী হিসেবে তরুণ-তরুণীদের তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা কেবল নিজেদেরকে প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে না। এই প্রতিযোগিতাকে তোমাদের জীবনের শিক্ষার অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ আজকের পৃথিবীতে ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে কোনো অবস্থাতেই সামনে এগোনো যাবে না।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রেগ্রামিং কাজটি শ্রেষ্ঠ পেশা। এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কেউ তোমাদের পিছিয়ে রাখতে পারবে না।
প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণকারী মেয়ে শিক্ষাার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাবার নাম কিংবা স্বামীর পরিচয়ে নয়, তোমরা তোমাদের নিজের পরিচয়ে বিশ্ব জয় করছো। তাই নিজেদেরকে মেয়ে নয়, মানুষ ভাববে। তোমরা রোবট বানাবে উন্নত বিশ্ব সেই রোবট ব্যবহার করবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, একদিন আমাদের কাগজবিহীন বইয়ের দুনিয়াতে যেতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার এ সময় তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি আমার তের বছরের প্রচষ্টার ফসল। সরকারি উদ্যোগে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এরই মধ্যে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।
এতে সাংবাদিক মুনীর হাসান, ইকো বিডির সভাপতি আমাতুর রশিদ, কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা এবং পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার বক্তৃতা করেন। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।