সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪। এর আওতায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঝড়ো অফারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। রয়েছে কোটি কোটি টাকার পণ্য ফ্রি। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ইতোমধ্যেই তিন জন ক্রেতা ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। আর ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন আরো ১০ জন ক্রেতা। পাশাপাশি ওয়ালটন ফ্রিজসহ টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কিনে ৭৫ হাজারের বেশি বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পেয়েছেন ক্রেতারা।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পাওয়া সৌভাগ্যবান তিন ক্রেতা হলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দাসবাড়ি গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসিম, নাটোরের কাফুরিয়া ইউনিয়নের বিরাহিমপুর জামে মসজিদের ইমাম মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং সিংড়ার শতকুঁড়ি উত্তরপাড়ার কৃষক জুয়েল রানা। এর মধ্যে আবুল হাসিম ও আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। জুয়েল রানাসহ অন্যদের টাকাও খুব শিগগিরই বুঝিয়ে দেয়া হবে।
গত সোমবার (১৮ এপ্রিল, ২০২২) ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা বাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘মেসার্স মমতাজ ইলেকট্রনিক্সে’ আনুষ্ঠানিকভাবে আবুল হাসিমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন দেওখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব তাজুল ইসলাম বাবলু, ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন এবং দেওখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেকান্দার আলী।
এর আগে ৯ এপ্রিল কানাইখালি ওয়ালটন প্লাজায় পৃথক একটি অনুষ্ঠানে আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং আমিন খান।
নাটোর জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে ওয়ালটন। জনসাধারণের উচিত দেশে তৈরি পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা। এভাবে আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টাতেই একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আমিন খান বলেন, একটা পণ্য কিনে একজন ক্রেতা ১০ লাখ টাকা পেতে পারেন এমনটা আগে কল্পনাও করা যেত না। একমাত্র ওয়ালটনই ক্রেতাদের এমন সুবিধা দিচ্ছে। দেশকে যারা ভালোবাসেন তারা অবশ্যই দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পণ্য কেনায় ক্রেতাদের জন্য দেয়া ওয়ালটনের এসব সুবিধার কথা আগে কিছুই জানতাম না। গ্রামের প্রায় সব ঘরেই ওয়ালটনের ফ্রিজ। তাদের পরামর্শে ডিজাইন ভালো লাগায় এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনি। আল্লাহ’র কি কুদরত! একটা ফ্রিজ কিনেই ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন বিশ্বের একটি শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে এই প্রত্যাশা করি।
১০ লাখ টাকা প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় আবুল হাসিম বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আমার ভাগ্য বদলে গেলো। এই টাকা ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখবো। এভাবে ক্রেতাদের নানান সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এবং কোটি কোটি টাকার ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
ওয়ালটন ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবাসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা রয়েছে।