বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্লাউড-নেটিভ সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম সোফোস, সম্প্রতি তাদের স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার ২০২২ রিপোর্টে রিয়েল-ওয়ার্ল্ড র্যানসমওয়্যার অভিজ্ঞতার বার্ষিক পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, জরিপে প্রায় ৬৬% সংস্থা ২০২১ সালে র্যানসমওয়্যারের শিকার হয়েছিল।
এশিয়া-প্যাসিফিক, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা এবং আফ্রিকা জুড়ে প্রায় ৩১টি দেশের ৫,৬০০ টি সংস্থার জরিপ করার পর সোফোস এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। সমীক্ষা চলাকালীন ৯৬৫টি কোম্পানি তাদের র্যানসমওয়্যার পেমেন্টের বিবরণ শেয়ার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও প্রকাশিত হয়েছে যে র্যানসমওয়্যার আক্রমণে ডেটা এনক্রিপ্ট করা সংস্থাগুলি তাদের ডেটা ফেরত পেতে মোটামুটিভাবে ৮,১২,৩৬০ ইউএস ডলার বা প্রায় ৭ কোটি টাকা খেসারত দিয়েছে । উপরন্তু, ৪৬% ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ডেটা এনক্রিপ্টেড ছিল এবং ব্যাকআপ সহ অন্যান্য ডেটা পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও তারা মুক্তিপণ পরিশোধ করেছে।
প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে দিন দিন মুক্তিপণ প্রদানের মাত্রা বাড়ছে, কারণ সময়ের সাথে সাথে ভুক্তভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, অনেক বৈশ্বিক সংস্থা র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকে তাদের ডেটা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য সাইবার বীমার উপর নির্ভর করে। যাইহোক, ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি র্যানসমওয়্যার আক্রমণগুলি সংস্থাগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে যেহেতু সাধারণত ডেটা পুনরুদ্ধার করতে এবং আক্রমণ পরবর্তি জটিলতাগুলো দূর করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে ৷
সম্ভাব্য র্যানসমওয়্যার এবং সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিয়মিতভাবে সিকিউরিটি কন্ট্রোল পর্যালোচনা করা যাতে তারা সংস্থার অন্যান্য সকল সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। অযাচিত যেকোনো তথ্য ফাঁস আটকাতে সকল তথ্যাদির ব্যাকআপ রাখা উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।