স্টার্টআপ হচ্ছে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান যারা কাস্টমারদের জন্য ইউনিক কিছু প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস নিয়ে আসে। এমন কিছু প্রোডাক্ট বা সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা করে, যেন কাস্টমার কিছুটা হলেও নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত হয় এবং লাভবান হয়।
স্টার্টআপের সাথে উদ্ভাবনের অনেক সুন্দর মিলবন্ধন রয়েছে। স্টার্টআপের একটি উদ্ভাবন পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। এই স্টার্টআপ খাতে নিজেদের অবস্থান বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ সরকার কয়েক বছর ধরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
স্টার্টআপ খাতে বিশ্বের ১০০টি দেশের মধ্যে ৯৩তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ ব্লিঙ্কের ‘গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ইনডেক্স ২০২২’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
স্টার্টআপ খাতে শ্রীলঙ্কার চেয়েও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ১০০টি দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৯০তম। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তান এগিয়ে আছে বাংলাদেশের চেয়ে। ভারত আছে ১৯তম স্থানে এবং পাকিস্তান ৭৬তম।
২০২১ সালেও বাংলাদেশ ৯৩তম স্থানে ছিল। স্টার্টআপে বিশ্বের শীর্ষ ৩০০ শহরের তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে ঢাকা। বর্তমানে ঢাকার অবস্থান ৩২৬তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ৪ গুণ বেশি অর্থায়ন এসেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। তবে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আর এজন্য অবকাঠামো খাতকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ইন্টারনেট স্থিতিশীলতা উন্নত করা।