গত মে মাসে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট। এতে গত এক দশকের মধ্যে স্মার্টফোন বিক্রি দ্বিতীয়বারের মতো ১০ কোটি ইউনিটের নিচে নেমে এল। এ নিয়ে টানা দুই মাসে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কয়েক দফা করোনার ঢেউ এবং সরবরাহ চেইন সংকটের কারণে ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্মার্টফোন বাজার। ২০২২ সালে অব্যাহত যন্ত্রাংশস্বল্পতা, বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, চীনের বাজারে শ্লথগতি ও ইউক্রেন সংকটের কারণে স্মার্টফোন বাজার অস্থিতিশীল।
চীনা বাজার ও ইউক্রেন সংকট নিয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক বরুণ মিশ্র বলেন, সাংহাই, কুনশান ও বেইজিংয়ে কয়েক মাসের লকডাউনে অর্থনৈতিক শ্লথগতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেমন কমেছে তেমনি বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে প্রভাব ফেলেছে। মে মাসে লকডাউন প্রত্যাহার করা হলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় দেশটির স্মার্টফোন বাজার। কিন্তু স্মার্টফোন বিক্রি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম ছিল।
প্রথমার্ধে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে অস্থিরতা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রশমন হবে বলে পূর্বাভাস কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের। চীনে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া, সরবরাহ চেইনে ভারসাম্য ফেরায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আগস্টের দিকে চীনে স্কুল খুলছে, তার পরই ভারতে দীপাবলি উৎসব। বছরের শেষের দিকে রয়েছে ক্রিসমাস ও নতুন বর্ষ উদযাপন। এ সময়ে স্যামসাং বাজারে আনতে যাচ্ছে গ্যালাক্সি ফোল্ড ও ফ্লিপ সিরিজের ফোল্ডেবল ফোন এবং অ্যাপল আনতে যাচ্ছে আইফোন ১৪। এতে বাজারে নতুন চাহিদার সৃষ্টি হবে এবং স্মার্টফোন বিক্রি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।