ভারতের আকাশে প্রথম পাখা মেলেছে বানিজ্যিক ড্রোন। ‘বরুণ’ নামে এই চালকবিহীন ড্রোনটি একজন যাত্রীসহ একবারে ১৩০ কেজি মালামাল পরিবহন করতে পারবে। মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুণেতে নৌবাহিনীর জন্য এই ড্রোন তৈরি করেছে একটি স্টার্টআপ কোম্পানি। খবর এনডিটিভি।
প্রস্তুতকারক কোম্পানি পুনের সাগর ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করে টানা ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষমতা রয়েছে ড্রোনটির। এতে চড়তে পারবেন একজন যাত্রী।
যেকোনো হেলিকপ্টারের চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী এই বানিজ্যিক ড্রোন। এই ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ-প্রযুক্তিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাব্বর বলেন, বরুণকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি জানান, আকাশে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিলেও ড্রোনটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম। জরুরি পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে ড্রোনটির প্যারাসুট এবং ওই প্যারাসুটের মাধ্যমেই নিরাপদে অবতরণ করবে ড্রোনটি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২০ জুলাই দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বরুণ ড্রোনের প্রদর্শনী উপভোগ করেন।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। তাতে ক্যাপশনে লেখা, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রথম বানিজ্যিক ড্রোনের প্রদর্শনী দেখেন, যা যাত্রী হিসেবে মানুষ বহন করতে পারে। এছাড়া ১৩০ কেজির মালামাল নিয়ে ২৫ কিমি পাড়ি দিতে পারবে। ড্রোনটির মাধ্যমে মাত্র ২৫-৩০ মিনিটেই দুর্গম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাবে পণ্য।’
এর আগে এক ড্রোন প্রদশর্নীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে ভারতের সবার হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাবে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকবে ড্রোন। আর এভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে লাগবে উন্নয়নের ছোঁয়া।