সদ্য রোলআউট করা হয়েছে লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমকে। কিন্তু এই নয়া ওএস সংস্করণের আগমনের এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই অ্যান্ড্রয়েড ১৪ বিটা ( ভার্সন কবে প্রকাশ করা হতে পারে তার সম্ভাব্য সময়কাল ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, আপকামিং অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থন করবে বলে দাবি করেছেন গুগলের প্ল্যাটফর্ম এবং ইকোসিস্টেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার । তিনি আরো নিশ্চিত করেছেন যে, টেক জায়ান্টটি অ্যান্ড্রয়েডের এই পরবর্তী সংস্করণকে ‘স্যাটেলাইটের জন্য ডিজাইন করছে’ এবং এই বৈশিষ্ট্যটি আনতে গুগল অংশীদারদের যথাসমর্থ সাহায্যও করবে।
আগস্টে দেয়া এক ঘোষণায় টেসলাপ্রধান ও মার্কিন ধনকুবের ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, টি-মোবাইলের নেটওয়ার্কে যুক্ত স্মার্টফোনে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিষেবা দেয়া হবে। এর আগে অ্যাপলের আইফোন ১৪-তে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সংযোগ থাকার বিষয়ে গুঞ্জন ওঠে। সম্প্রতি আলোচনা হচ্ছে যে অ্যান্ড্রয়েড ১৪-তেও স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি থাকবে।
গুগলের প্লাটফর্ম ও ইকোসিস্টেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থাপন করেন। সেখানে স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত হবে এমন স্মার্টফোন গ্রাহকরা কীভাবে ব্যবহার করবে বা বিষয়টি কীভাবে দেখবেন সে বিষয়টি উঠে আসে। ২০০৮ সালে টি-মোবাইল যখন প্রথম জি১ সেলফোন নিয়ে আসে তখন সেটিতে থ্রিজি ও ওয়াই-ফাই সংযোগে সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্যাটেলাইট সংযোগ নিয়ে কাজ করছে।
টি-মোবাইলের পরিষেবা চালু হওয়ার পর বিদ্যমান অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস সহজেই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে। অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্টের কারণে জরুরি মুহূর্তে ও যেসব জায়গায় নেটওয়ার্ক থাকে না সেখানকার অবস্থা আরো উন্নত হবে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের এখন আর ডেড জোন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কেননা স্যাটেলাইট থাকার কারণে পৃথিবীর যে প্রান্তেই তারা যাক না কেন সেখানে নেটওয়ার্ক থাকবে। এতে যেকোনো সময় মেসেজ পাঠানো যাবে এবং জরুরি ফোনকল করা যাবে।
স্যাটেলাইটের সঙ্গে সেলফোন যুক্তের বিষয়টি গুগলের জন্য একেবারেই নতুন নয়। ২০১৫ সালে স্পেসএক্সে বিনিয়োগ করেছিল গুগল। মূলত বেলুনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত বা দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানে পরীক্ষা চালিয়েছিল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি।