বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিকীকরণের পর বিভিন্ন কোম্পানির তাদের একাধিক স্মার্টফোনে পঞ্চম প্রজন্মের এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করে। শুরুর কয়েক বছর ফাইভজি নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে বেশ কিছু মিড-রেঞ্জের স্মার্টফোনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। এন্ট্রি-লেভেলের ফোনেও এই নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করতে দেখা যাচ্ছে।
আগামী বছরের মধ্যেই একাধিক শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ফাইভজি কানেক্টিভিটিযুক্ত বেশ কয়েকটি বাজেট স্মার্টফোন উন্মোচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, স্যামসাং তাদের কমদামের ফোনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে।
এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্যামসাং তাদের সকল বাজেট ফোন ফাইভজি নেটওয়ার্কের সক্ষমতায় বাজারে নিয়ে আসবে। তাদের লক্ষ্য ফোনের সকল মডেল ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। তাই ফোরজির তুলনায় স্যামসাং ফাইভজি ফোনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এদিকে জানা গেছে, স্যামসাং-অ্যাপলের মতো বড় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড তাদের উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা করছে। বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন শিল্পে চলতি বছর বেশ খারাপ প্রভাব পড়েছে। বিক্রি কমে আসায় উৎপাদনও কমাতে শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের ঝুঁকি কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করেন, চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের শিপমেন্ট মাত্র ১.২৬ বিলিয়ন ইউনিটে নেমে আসতে পারে। ২০২১ সালের র তুলনায় যা ৬.৮ শতাংশ কম। তবে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন সরবরাহের পরিমাণ প্রায় ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।