ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ব্যবহারকারীর জন্য ‘বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার’ বাধ্যতামূলক নয়।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অ্যানড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রথমে মন্ত্রী বলেন, এটা আইনের বিষয়, এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
পরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি শব্দ ব্যবহার করেছে, বাধ্যতামূলক। এ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। যে কোনো অ্যানড্রয়েড ফোনে আপনি কোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, আনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই।
এর আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, গুজব রোধে আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। আমরা যেন গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি, জেলা প্রশাসকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব দেখেন, বিটিআরসিতে জানালেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া সরাসরি বন্ধ করতে পারি না, তবে ওয়েবসাইট আমরা বন্ধ করতে পারি। পর্ন সাইট, জোয়ার সাইট বন্ধ করতে পারি।
মোস্তফা জব্বার বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশের বেশি জায়গায় ফোরজি সেবা ছড়িয়ে দিয়েছি। এখন ফাইভজি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ফাইভজি ফোরজি থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, আমাদের ১০ কোটিরও বেশি মোবাইলে ইন্টারনেট গ্রাহক আছে, আর কিছু ফিক্সড ইন্টারনেট গ্রাহকও আছে। আমাদের মোবাইল ইন্টারনেটকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু দেশের বিভিন্নপ্রান্তে আমরা টাওয়ার বসাতে পারছি না। কিছু লোক অপপ্রচার চালায় টাওয়ার থেকে রেডিয়েশন ছড়ায়। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি, এগুলো অপপ্রচার। আমাদেরকে টাওয়ার বসাতে দিতে হবে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, আজকের বাংলাদেশ টেলিফোন নির্ভর নয়, ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। অবৈধ আইএসপি বেড়েছে। বিটিআরসির লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন আইএসপি ব্যবহার করতে না পারে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন।