ইউরোপ ও আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা এবং যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৯ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে হুয়াওয়ের। পাশাপাশি নিট প্রান্তিক মুনাফা বেড়েছে ৮ শতাংশ। গতকাল হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনা টেলিকম জায়ান্টটির আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৮১ কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নিট প্রান্তিক মুনাফাও কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য হুয়াওয়ে কখনই নিট মুনাফার হিসাব প্রকাশ করে না।
বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। আর স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে অবস্থান তৃতীয়। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রচারণার পরও কোম্পানির ফাইভজি টেলিকম যন্ত্রাংশ সরবরাহ চুক্তির সংখ্যা বেড়েছে। গত মার্চের শেষ নাগাদ বেশ কয়েকটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪০টি ফাইভজি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বাজারে ৭০ হাজার ফাইভজি বেজ স্টেশন সরবরাহ করা হয়েছে। মে মাসের মধ্যে এ সংখ্যা এক লাখে পৌঁছবে বলে আশা করছে হুয়াওয়ে।
এদিকে দুই বছরে প্রথমবারের মতো হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক ব্যবসায় আয় কমেছে। যদিও চলতি মাসের শুরুতে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই সিএনবিসিকে বলেছেন, প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশের বিক্রি বেড়েছে ১৫ শতাংশ ও কনজিউমার ব্যবসা বেড়েছে ৭০ শতাংশ।
কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান গৌ পিং বলেছেন, চলতি বছর কনজিউমার, ক্যারিয়ার ও এন্টারপ্রাইজ তিনটি ব্যবসাতেই দুই অংকের প্রবৃদ্ধি আশা করছেন তারা।
গতকাল হুয়াওয়ের আর্থিক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানি ৫ কোটি ৯০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে। হুয়াওয়ে বছরওয়ারি হিসাব প্রকাশ না করলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস
বলছে, ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনা কোম্পানিটি ৩ কোটি ৯৩ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল।