সারাদেশে চলছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৭। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০১টি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার জসিম উদ্দিন। মাত্র ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে বাড়িভর্তি পণ্য উপহার পেলেন জসিম। তিনি খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে দেয়া হচ্ছে নানান সুবিধা। এরই প্রেক্ষিতে সিজন-১৭ তে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রয়ে রয়েছে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত উপহার।
গত সোমবার (৬ মার্চ, ২০২৩) উখিয়ার মরিচ্যা বাজার ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে জসিম উদ্দিনের হাতে ১০১টি পণ্য তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
সে সময় উখিয়া থানা পুলিশের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, তিনি ধোয়াপালং এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করছেন। বাসায় তেমন কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য ছিলো না। পরিবারের প্রয়োজনে গত ১ মার্চ তিনি উখিয়ার মরিচ্যা বাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় ২২০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। ফ্রিজ কেনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০১টি পণ্য ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ওয়ালটন প্লাজা থেকেও ফোন করে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে এমন সুসংবাদ পেয়ে আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়ে জসিম উদ্দিনের পুরো পরিবার।
মাত্র ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কেনা ওয়ালটন পণ্যে জসিম উদ্দিন ফ্রি পেয়েছেন আরেকটি ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন, সিলিং, প্যাডেস্টাল, টর্নেডো ও রিচার্জেবল ফ্যান, রাইসকুকারসহ ১০১টি পণ্য। ট্রাকভর্তি করে সেসব পণ্য বাড়িতে নিয়ে গেছেন জসিম। ইলেকট্রনিক্স পণ্যহীন তার বাড়ি এখন ভরে গেছে ওয়ালটনের নানান পণ্যে।
জসিম উদ্দীন বলেন, আমার পুরো পরিবার এখন আনন্দে ভাসছে। একটি ফ্রিজ কিনে এতগুলো পণ্য ফ্রি পাওয়া অকল্পনীয়। ক্রেতাদের এমন সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ফ্রি পাওয়া পণ্যগুলো আমরা ব্যবহার করবো। ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন এ রকম অভিনব সুবিধা অব্যাহত রাখুক।
ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৭ চালুর প্রথম দিনেই জসিম উদ্দিন ১০১টি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন। দ্রুততম সময়ে তাকে পণ্যগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়ালটন সব সময় ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আসছে। ওয়ালটন প্লাজা বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা কোনো গ্রাহক কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের পর মারা গেলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে আসছে। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে ওয়ালটন সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
তিনি জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে ওয়ালটন প্লাজা চালু করেছে ওয়ানস্টপ সার্ভিস। দেশের প্রতিটি ওয়ালটন প্লাজায় তিনটি মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে। এই নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করে ঘরে বসেই নগদে বা কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন গ্রাহক। পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবাও। এর পাশাপাশি কিস্তিতে ক্রয়কৃত পণ্য ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করলে গ্রাহককে কোনো বাড়তি টাকা বা ইন্টারেস্ট দিতে হচ্ছে না।
ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার বলেন, দেশের উন্নতি মানে আমাদের সবার উন্নতি। দেশকে এগিয়ে নিতে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা যত বেশি ওয়ালটনের পণ্য কিনবো, তত বেশি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।