স্মার্টফোনের মধ্যে বিশ্বে অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার বেশি। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, ডাউনলোডের সুবিধা, আপডেটসহ বিভিন্ন কারণে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে এক-দুই বছর পার হলেই অনেকের অভিযোগ ডিভাইস স্লো হয়ে গেছে। অর্থাৎ স্মার্টফোনটি আগের মতো কাজ করছে না। প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক। কেননা এর পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে।
সফটওয়্যার আপডেট না দেয়া
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অন্যতম একটি ভুল কাজ আপডেট না দেয়া। আপডেটগুলোয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, সিকিউরিটি প্যাচ থাকে, যা ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই দীর্ঘ সময় ভালোভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারের জন্য সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে অতিরিক্ত অ্যাপ চালু রাখা
ডিভাইস চালু অবস্থায় ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চলার অনুমতি দিলে তা ডিভাইসের গুরুত্বপূর্ণ মেমোরি ও সক্ষমতা ব্যবহার করবে। প্রতিনিয়ত এটি হতে থাকলে একটা পর্যায়ে ডিভাইস স্লো হয়ে যাবে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করে রাখতে হবে।
হোমস্ক্রিনে একাধিক উইজেট ব্যবহার
স্মার্টফোনে উইজেট ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে কোনো তথ্য জানা গেলেও, স্ক্রিনে এর অতিরিক্ত উপস্থিতি ডিভাইসে প্রভাব ফেলবে। কেননা উইজেট হচ্ছে ডিভাইসে আগে থেকে চলা কোনো অ্যাপের শর্টকাট ফিচার। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী উইজেট স্ক্রিনে যুক্ত করতে হবে।
স্টোরেজ শেষ হয়ে যাওয়া
ডিভাইসে যদি পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকে তাহলে তা সামগ্রিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। প্রসেসর ও র্যামের পাশাপাশি ইন্টারনাল স্টোরেজও গুরুত্বপূর্ণ। প্রসেসর যত শক্তিশালীই হোক না কেন, স্টোরেজ যদি খালি না থাকে তাহলে কোনো কাজই ভালোভাবে করা যাবে না। এজন্য সময় করে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও অ্যাপ মুছে দিতে হবে।
অপরিচিত মাধ্যম থেকে অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল
নির্ধারিত অ্যাপ স্টোর ছাড়া বাইরের কোনো মাধ্যম থেকে অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করলে তা ডিভাইসের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। ম্যালওয়্যার সংক্রমণ তো আছেই। একবার ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক কাজ পরিচালনা করবে।
অ্যাপের ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কার না করা
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার সময় ক্যাশ ফাইল জমতে থাকে। যেগুলো পরবর্তী সময়ে সহজে অ্যাপ চালুতে সহায়তা করে। কিন্তু দীর্ঘদিন অ্যাপের ক্যাশ ফাইল জমা রাখলে তা স্মার্টফোনকে মন্থর করে দেবে।
ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস এড়িয়ে যাওয়া
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হলো ব্যাটারি। এর সক্ষমতা বাড়াতে ডিভাইসে অপটিমাইজেশন সেটিংস থাকে। অনেকেই সেটিংসটি বন্ধ রাখে বা সেটি ব্যবহার করে না, যা ডিভাইসের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। তাই যেখানে প্রয়োজন সেখানে অপশনটি ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত নোটিফিকেশন আসা
বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেলফোনে নোটিফিকেশন এসে থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকার কারণে এমন হয়। সেই নোটিফিকেশনের মাত্রা বেশি হলে তা প্রসেসর, র্যাম ও ব্যাটারির ওপর চাপ তৈরি করে।
স্মার্টফোন রিস্টার্ট না দেয়া
দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহারের পর রিস্টার্ট দেয়া ভালো। এতে টেম্পোরারি ফাইল মুছে যায় এবং সিস্টেম রিফ্রেশ হয়।
ব্যাকআপ না রাখা
স্মার্টফোনে প্রয়োজনে অনেক ফাইল রাখতে হয়। সেগুলো ব্যাকআপ করে মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি থাকে। কিন্ত অনেকেই ফাইল সংরক্ষণ করে না। ফলে স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই প্রয়োজনীয় ফাইল ব্যাক আপ রাখা উচিত।