তথ্য ফাঁসের ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
সোমবার (১০ জুলাই) আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে হওয়া এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে যারা নিয়মিত এ ধরনের ঘটনা মনিটরিং করবে।
এই বৈঠকে দেশের আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো তালিকায় থাকা ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও আইসিটি বিভাগের অধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) এবং বাংলাদেশ ই গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পলক বলেন, ডিএসএ এর মহাপরিচালককে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছি, যেখানে সার্ট এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তারা এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দেবে। কী পরিমাণ তথ্য ফাঁস হলো, কিভাবে হলো, এর ঝুঁকি কতখানি এসব বিষয় সেই প্রতিবেদনে উঠে আসবে। প্রতিবেদনে যদি দেখা যায় যে, এর জন্য কোন ব্যক্তি দায়ী বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নূন্যতম যে কার্যবিধি পূরণ করার কথা ছিল কিন্তু করেনি; তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে অথবা ঘটনা ঘটলে যেন বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে দ্রুত তথ্যের আদান প্রদান করা যায় সেজন্য নিয়মিত কাজ করবেন। সেখানেই সার্ট, ডিএসএ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২৯টি পরিকাঠামো থেকে প্রতিনিধিরা থাকবেন।
এদিকে আরও তিনটি পরিকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ আছে উল্লেখ করে পলক বলেন, আমরা দেখেছি যে, আরও তিনটি পরিকাঠামোতে দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলোকেও নিরাপদে এখন কাজ করা হচ্ছে। দেশে প্রায় ৫২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট আছে তবে এগুলোর মধ্যে এই ২৯টি পরিকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।