সাপ্লাই চেইনে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে বৈচিত্র্যময় করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট এইচপি। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি থাইল্যান্ড ও মেক্সিকোতে ল্যাপটপ উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা করছে।
এইচপির সাপ্লাই চেইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চীন। এ বিষয়টিকে উল্লেখ করে চীনের চতুর্থ বৃহৎ শহর চংকিংয়ের ২০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে কোম্পানিটি।
এইচপি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পিসি নির্মাতা। পণ্য উৎপাদন সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে এইচপি বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ভিয়েতনামে ল্যাপটপ উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন মজবুতের পাশাপাশি ভোক্তা ও বাণিজ্যিক চাহিদাকে নিশ্চিত করতে চায়।
সম্প্রতি এইচপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি উল্লেখ করা হয়, স্থিতিশীল সরবরাহ ও বিকশিত বিশ্ব বাজারের সম্ভাব্য বাধা প্রশমণের জন্য এটি কৌশলগত পদক্ষেপের ওপর জোর দেয়। ভৌগোলিক বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়ে শিল্পের শীর্ষে অবস্থানে পৌঁছাতে আগ্রহী। তবে এইচপি চীনে এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনা সম্পর্কেও আশাবাদী। বিবৃতিতে চংকিংয়ে নতুন একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খোলার কথাও প্রকাশ করা হয়। এটি গ্রাহকের চাহিদা পূরণে কম্পিউটিং উদ্ভাবনের জন্য নিবেদিত হবে।
বৈশ্বিক বাজারে মন্দা সত্ত্বেও বেশিরভাগ প্রতিযোগীদের তুলনায় এইচপি ভালো অবস্থানে রয়েছে। গত প্রান্তিকে ১ শতাংশের মতো চালান কমলেও কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে অতিরিক্ত মজুদ পণ্য বিক্রিতে ভালো সাড়া পেয়েছে। যা শীর্ষ উইন্ডোজ পিসি প্রস্তুতকারক হিসাবে এইচপির অবস্থানকে সুরক্ষিত করে। যদিও ৮ শতাংশ চালান বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিকভাবে এগিয়ে রয়েছে অ্যাপল।