কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বর্তমানে সব খাতেই ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রযুক্তি, ব্যবসায়িক কার্যকম ও শিল্পোৎপাদন সব ক্ষেত্রেই জেনারেটিভ এআইয়ের বিচরণ। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি ছবি শনাক্ত করতে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে গুগল।
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগ ডিপমাইন্ডের তৈরি সিন্থআইডি নামের ওয়াটারমার্কটি মেশিন-জেনারেটেড ইমেজ শনাক্ত করতে পারে। এ প্রযুক্তি সূক্ষ্মভাবে পৃথক পিক্সেলকে পরিবর্তন করে ওয়াটারমার্ক তৈরি করে, যা মানুষের চোখের কাছে অদৃশ্য তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে শনাক্তযোগ্য।
ডিপমাইন্ড অবশ্য এটা স্বীকার করেছে যে এ পদ্ধতি অধিক হারে ইমেজ ম্যানিপুলেশনের বিরুদ্ধে নিখুঁত কোনো সমাধান নয়। এআই দিয়ে নির্মিত ছবিগুলো বাড়ার সঙ্গে এআই নির্মিত ছবি থেকে আসল ছবি আলাদা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। গুগলের নিজস্ব ইমেজ জেনারেটর ইমেজন তাদের ওয়াটারমার্কিং সিস্টেমের আওতায় থাকবে। প্রচলিত ওয়াটারমার্কগুলোর বিপরীতে যা এডিট করা যায়, নতুন এ ওয়াটারমার্কটি কার্যকরভাবে অদৃশ্য ও ছবি এডিট করা হলেও থেকে যাবে।
ডিপমাইন্ডের গবেষণা প্রধান পুষ্মিত জানান, এ পরীক্ষামূলক সেবাটি আরো উন্নত করতে ব্যবহারকারীর ইনপুট প্রয়োজন পড়বে। মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এআই ওয়াটারমার্ক তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীন এরই মধ্যে ওয়াটারমার্ক ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ছবি তৈরি নিষিদ্ধ করেছে। যদিও গুগলের উদ্যোগটি প্রযুক্তি শিল্লে এআই পণ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার শক্তিশালী প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলন করে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।