বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষেরই সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকতে হয়। প্রায় সব বয়সের মানুষই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। ঘুম ভাঙার পর থেকে মাঝ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো না কোনো প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেই হয়। প্রয়োজনেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হয়।
অফিস-আদালত কিংবা অনলাইনে শপিং, ব্যাংকিং কার্যক্রম বা কোনো বিল পরিশোধ, সবই এখন ওয়েবসাইট ভিজিটের মাধ্যমে হয়। যারা এসব ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তারা জানেন যে, ওয়েবসাইটে প্রবেশের সময় ই-মেইল আইডি চাওয়া হয়। যা মূলত তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বা অফার সম্পর্কে জানানোর জন্য নেয়া হয়। কিন্তু এর মাধ্যমেই প্রতারক চক্ররা ই-মেইল আইডি হ্যাক করে নিতে পারেন। একই সঙ্গে ফাঁস করে দিতে পারে ব্যক্তিগত নানা তথ্য।
সাধারণত ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই এসব প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। এসব ওয়েবসাইট দেখতে আসল ওয়েবসাইটের মতোই। খুব কম সংখ্যক মানুষই নকল ওয়েবসাইট চিনতে পারেন। আর আসল ওয়েবসাইট চিনতে না পারলেই নানা সমস্যা তৈরি হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত এবার তাহলে সহজেই ভুয়া ওয়েবসাইট চিনতে পারার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।
অ্যাড্রেস বার চেক করা : যে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করছেন সেটির অ্যাড্রেস বার চেক করুন। এতে যদি ‘এইচটিটিপিএস’ থাকে তাহলে এটি নিরাপদ ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে ‘এস’ থাকা মানে সেটি নিরাপদ। আর ‘এস’ না থাকলে ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করা মোটেও উচিত নয়।
অ্যাবাউট আস এবং কনটাক্ট আস চেক করা : কখনো কোনো ওয়েবসাইট নিয়ে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয় তাহলে সেটির অ্যাবাউট আস এবং কনটাক্ট আস অপশন দেখে নিন। এখানে যদি ওয়েবসাইট ও তাদের কর্মীদের সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের যদি লিংকডইন ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা প্রোফাইল থাকে, তাহলে তা যাচাই করে নিন।
ওয়েবসাইটের ভাষার দিকে নজর রাখা : আপনার ভিজিট করা ওয়েবসাইটের ভাষার দিকে খেয়াল করুন। দেখুন ভাষার ব্যাকরণে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা কিংবা কোনো শব্দ অনুপস্থিত বা বাক্য অসম্পূর্ণ কিনা। এমনটা হলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইটের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।
পপ-আপ এবং বিজ্ঞাপন : যদি কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিটের সময় প্রচুর বিজ্ঞাপন এবং পপ-আপ দেখতে পান, তাহলে এসবের কোনোটিতে ক্লিক করবেন না। ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলুন। যদি তাৎক্ষণিক এসব ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে না আসেন তাহলে সাইবার কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার : আজ-কাল অনলাইনে ওয়েবসাইট চেক করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে ওয়েবসাইটের সত্যতা এবং সাইট সম্পর্কে জানা যায়। সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন, আপনার ভিজিট করা সাইটটি আসল, নাকি নকল।