মহাকাশে পৌঁছানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ল স্পেসএক্সের স্টারশিপ। চাঁদ ও অন্যান্য গন্তব্যে মহাকাশচারীদের পৌঁছাতে এটি ছিল ইলোন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থার দ্বিতীয় পরীক্ষা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) মনুষ্যবিহীন দুই-স্তরের রকেটটি মহাকাশ ছুঁলেও বেশি দূর যেতে ব্যর্থ হয়। তবে প্রথম পরীক্ষার চেয়ে খানিকটা সফলতার মুখ দেখছিল স্টারশিপ।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বোকা চিকার কাছে মাস্ক-মালিকানাধীন কোম্পানির স্টেশন থেকে পরিচালিত ৯০ মিনিটের এ পরীক্ষামূলক মিশনে স্টারশিপ ভূমি থেকে ৯০ মাইল উচ্চতায় উঠে। রকেটের সুপার হেভি ফার্স্ট স্টেজ বুস্টার বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই মেক্সিকো উপসাগরের আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে স্পেসএক্সের প্রকৌশলী ও লাইভস্ট্রিম হোস্ট জন ইনসপ্রুকার বলেন, রকেটটি ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় ফ্লাইট টার্মিনেশন কমান্ড ট্রিগার করা হয়েছিল। তবে কারণটি এখনো অস্পষ্ট।
মিশনের প্রায় আট মিনিটে স্টারশিপ বুস্টার ট্র্যাকিং ক্যামেরায় একটি বিস্ফোরণ দেখা যায়। যা বুঝিয়ে দেয় অভিযান ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এর আগে এপ্রিলের প্রথম মিশন চার মিনিটের মাথায় ব্যর্থ হয়।
বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রগুলো তত্ত্বাবধান করে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। সংস্থাটি এ দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ব্যর্থতার বিষয়ে স্পেসএক্স-নেতৃত্বাধীন তদন্ত তত্ত্বাবধান করবে তারা। এমন কিছু যাতে আর না ঘটে, তাই স্পেসএক্সের আগামী পরিকল্পনাগুলোর অনুমতি নিতে হবে।
চলতি বছর মহাকাশ অভিযান খাতে ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে স্পেসএক্স।
স্পেস অ্যানালিটিক্স ফার্ম ব্রাইস টেকের সিইও ক্যারিসা ক্রিস্টেনসেন বলেন, আগের পরীক্ষার তুলনায় উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। এ ধরনের পরীক্ষায় ৪-৫টি অভিযান বেশি নয়।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে স্পেসএক্স বলেছে, আমরা যা শিখি তা থেকে সাফল্য আসে।
পরীক্ষাটি সফল হলে স্পেসএক্স উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বহুমুখী এ উদ্যোগ এই দশকের শেষের দিকে নাগাদ মঙ্গল গ্রহে মানুষ ও চাঁদে পণ্য আনা-নেয়ার সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে।