২০২৪ সালে সাইবার অপরাধের পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) ব্যবহার, ডিপফেক, নকল পরিচয় তৈরি, কণ্ঠ, ভিডিও ও ছবি দিয়ে প্রতারণার মতো ঘটনা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছর সাইবার অপরাধ নিয়ে ম্যাকাফির পূর্বাভাস থাকছে এখানে।
ডিপফেক প্রতারণা বৃদ্ধি পাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নকল কণ্ঠ, ছবি ও ভিডিওর সাহায্যে প্রতারণার ঘটনা বাড়বে, এমনকি এসবের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও আগের থেকে বেশি হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই প্রতারণা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটাতে আরও সক্রিয় থাকবে সাইবার অপরাধীরা। তারকা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণা করবে সাইবার অপরাধীরা।
সাইবার বুলিং
ডিপফেকের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের প্রবণতা বেশি দেখা যাবে। তরুণেরা উন্নত টুল ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় ভুয়া আধেয় (কনটেন্ট) তৈরি করতে সক্ষম হবেন, যা আপাতদৃষ্টে অনেকের কাছে প্রকৃতও মনে হতে পারে। এ কারণে ভুক্তভোগীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে থাকেন, এমনকি তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হবে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি এসব সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা গুজবও ছড়ায়।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা
২০২৪ সালে ভুয়া দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারণা বাড়বে। প্রতারকেরা নকল দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট খুলে মানুষের সহানুভূতি ও আবেগ কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এআই দিয়ে ম্যালওয়ার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কাও রয়েছে। সাইবার অপরাধীদের জন্য এআই ব্যবহার করে আরও উন্নত ম্যালওয়ার, ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ও ফিশিং ই–মেইল তৈরি সহজ হবে।
অলিম্পিক গেমস লক্ষ্য করে অনলাইন প্রতারণা
২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমসে তৎপর থাকবে সাইবার অপরাধীরা। ভুয়া টিকিট বিক্রি ও ট্রাভেল বুকিংয়ের মতো ঘটনা দেখা যাবে।