আধুনিক বিশ্ব বাস্তবতায় মোবাইল ফোন ছাড়া যেন সবকিছুই অচল কারণ বর্তমানে মোবাইল না থাকলে যেন এক মুহূর্ত চলে না। ঘর থেকে বাহির দেশ থেকে দেশান্তর কিংবা অফিস আদালত সবখানেই ব্যবহার বাড়ছে মোবাইল ফোনের। কখনো কখনো বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রটি। যেমনটি ঘটেছে এডভোকেট এম এ এন এম গাউছ উদ্দিনের বেলায়।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাতে আবারও স্যামসাংয়ের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণ হানীর হাত থেকে রক্ষা পেল এডভোকেট এম এ এন এম গাউছ উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী এডভোকেট দেওয়ান জাকারিয়া সংবাদ বেলাকে জানান, বিভিন্ন সময় শুনেছি মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনা কিন্তু আজ নিজ চোখে দেখলাম। হবিগঞ্জ জেলা এডভোকেট সমিতির বিজ্ঞ সদস্য এডভোকেট এম এ এন এম গাউছ উদ্দিন তার চেম্বারে কর্মরত থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ১১ টার কিছু পূর্বে তার হাতে থাকা Samsung j 22 সিরিজের মোবাইলটি হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
তিনি বলেন, ব্যবহারকারী বুদ্ধিমত্তার কারনে এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণ হানী থেকে রক্ষা পেয়েছেন, বিস্ফোরিত মোবাইলটি চেম্বার থেকে বাহিরে ছুড়ে ফেলে। যদি কানে অথবা হাতে ধরা অবস্থায় বিস্ফোরণ হত তাহলে ব্যবহারকারী মৃত্যু হতে পারতো।
জাকারিয়া বলেন, Samsung j 22 মোবাইল বিস্ফোরণ ফলে চেম্বারে ধোঁয়া সৃষ্টি এবং সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি বলে চেম্বারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তাই মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস জিনিস ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী বলে জানান তিনি।
আরিফ খান নামে এক মোবাইল ব্যবহারকারী সংবাদ বেলাকে জানান, আগে মোবাইল বিস্ফোরণের কথা বাহিরের দেশ গুলোতে বেশি হতো বলে জানতাম। তবে আমাদের দেশে এই ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে। এর ফলে মোবাইল ব্যবহারেও আতঙ্ক থাকি কারণ কখন কি হয়ে যায়।
হৃদয় হাসান নামের আরেক মোবাইল ব্যবহারকারী সংবাদ বেলাকে জানান, মোবাইল ব্যবহারে এখন ভয় কাজ করে কারণ হুট হাট করেই এখন মোবাইল বিস্ফোরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, মোবাইল ব্যবহার করা এখন এক আতঙ্কের নাম। মনে হয় পকেটে বোম নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
এর আগে (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে গাজীপুরের টঙ্গীতে স্যামসাং মোবাইল বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এসময় বিছানার চাদর ও বালিশের কভারে আগুন ধরে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্যালাক্সি ৭ সেভেনের ব্যাটারিতে আগুন ধরার অভিযোগে স্যামসাংকে বিপুল ক্ষতির মুখে পরতে হয়। তাদের বিক্রি পরে যায় এবং ২৫ লাখ ডিভাইস ফেরত নিতে হয়। সে অবস্থা থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়।