আগামী জুলাই থেকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) দেওয়া হবে। আর চলতি বছরের মধ্যেই পাঁচ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হবে।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৈঠক শেষে কমিটির তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই বছরের মধ্যেই ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট চালু হবে। আর আগামী জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, নাহিম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহবুবুজ্জামান, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সালের মধ্যেই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোকে পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করে কমিটি।’
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার উদ্যোগ নিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধাসহ নানা কারণে বিভিন্ন মহল থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি একাধিকবার বৈঠক করে। প্রবাসী শ্রমিকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করা হলে এতে পাতার সংখ্যাও বাড়বে। বর্তমানে পাসপোর্টে রয়েছে ৪৮ পাতা।