বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফরম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের একজন ক্রিস হিউজ। তিনি ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ফেসবুককে তিনটি কোম্পানিতে ভাগ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান বিতর্কের অবসানে ফেসবুককে ভেঙে ফেললে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীরা লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ।
গত শুক্রবার শেরিল স্যান্ডবার্গ ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজের পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জানান, বিশেষ কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে বহুজাতিক একটি বৃহৎ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার যৌক্তিক কারণ নেই। ফেসবুককে ভেঙে পৃথক তিনটি কোম্পানি সৃষ্টির পরিবর্তে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করা উচিত। ফেসবুককে ভেঙে ফেলা হলে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীরা ব্যবসার দিক থেকে লাভবান হবে। কারণ চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীরা কার্যক্রম বিস্তারে কোনো অংশে কম নয়।
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, আপনারা আমাদের ভেঙে ফেলতে পারেন, মার্কিন অন্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের ভেঙে ফেলতে পারেন। কিন্তু আপনারা জানেন না মানুষের অন্তর্নিহিত চাওয়া আসলে কী? ২৪০ কোটির বেশি গ্রাহকের একটি জনপ্রিয় প্লাটফরম ফেসবুক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে সোস্যাল মিডিয়া প্লটফরমটির ভুল ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ফেসবুকের নীতি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে, বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। এ সব সমাধানে আমরা কাজ করছি। কিছু ক্ষেত্রে এরই মধ্যে স্থায়ী সমাধান দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, মানুষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আকার এবং সক্ষমতা বিষয়ে সচেতন রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন নতুন সতর্কতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফেসবুককে ভেঙে ফেলা হলে ব্যবসা জোরদারে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীরা বসে থাকবে না।
ক্রিস হিউজ ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের কলেজ সহপাঠী। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসে তিনি ফেসবুক বিষয়ে তার দীর্ঘ মতামত লেখেন। তিনি জানান, জাতি হিসেবে আমাদের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। কাজেই মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কতটুকু ভালো মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করছেন, তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা। শুধু তা-ই নয়, ফেসবুকে মার্ক জাকারবার্গের ক্ষমতা এবং একক আধিপত্যের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।