ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আপন গতিতেই এগিয়ে চলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত করা প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার।
তিনি বলেন, ‘নগদ আপন গতিতেই চলবে। প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদে কোনো হাত দেওয়া হবে না। শুধু আগের সিইও পরিচালনা বোর্ড থাকবেন না। অপারেশন ঠিক আগের মতোই চলবে। নগদ ছিল, নগদ চলবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ারে নগদ-এর প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বদিউজ্জামান দিদার। এদিন তিনি প্রথম নগদে অফিস করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বদিউজ্জামান দিদার বলেন, ‘অনেকগুলো সরকারি ভাতা নগদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও চলমান থাকবে। নগদের ওপর আস্থা যেন নষ্ট না হয়, সেটি লক্ষ্য রাখা হবে। বরং ব্যবসা আরও বাড়ানো হবে। তাই বলে বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু এটি দিয়ে ব্যবসা করতে আসেনি। একে এগিয়ে নিতেই প্রশাসক নিয়োগ করেছে।’
সদ্য নিয়োগ পাওয়া এ প্রশাসক বলেন, গত ৫ বছরে তিন লাখ রিটেইলসহ সাড়ে ৯ কোটি গ্রাহক সৃষ্টি করেছে নগদ। আগামী এক বছরে এ সংখ্যাটা ১৫ কোটির মাইলফলকে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার অনুরোধও জানাচ্ছি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাক বিভাগের লোগো ফিরে আসবে কি না, তা এখনই বলা যাবে না। তবে আমি মনে করি এটা ফিরিয়ে আনা উচিত।
সরকার পরিবর্তনে নগদে ঝাপটা লাগলো কেন এমন প্রশ্নের জাবাবে বদিউজ্জামান দিদার বলেন, পাঁচ বছরে এ অবস্থান। কারও না কারও রোষানলে পড়তে হয়েছে। ব্যবসায়ে প্রতিযোগিতার হিংসা থাকবেই। অপপ্রয়াস ছিল হয়তো। তবে মানুষের আস্থা হারানোর মতো কিছু ঘটেনি নগদে। এটা একটা রিউমার। সেজন্য সরকার পরিবর্তন এনেছে হয়তো।
ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব, নির্বাহী পরিচালক শাফায়েত আলম প্রমুখ।
আবু তালেব বলেন, ডাক বিভাগের ব্যবসা হিসেবে নগদকে আমি জানি। এটির পরিচালনা বা এর পেছনের বিষয়ে কিছু জানি না। অপারেশন সাইট আমরা দেখতাম না। মাসিক ও বার্ষিক হিসাবের যেটুকু বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থাপিত হতো, সেটুকু জানতাম। আসলে ডাক বিভাগের সক্ষমতা না থাকায় নগদ লিমিটেডকে সৃষ্টি করা হয়।
নগদের নির্বাহী পরিচালক শাফায়েত আলম বলেন, রিউমার (গুজব) দূর করতে প্রশাসক নিয়োগ অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ। আশা করি, এটা ভালো হবে, নগদ এগিয়ে যাবে।