চীনা স্মার্টফোন প্রযুক্তি কোম্পানি অনরের প্রধান নির্বাহী (সিইও) জর্জ ঝাও ব্যক্তিগত কারণে তার পদত্যাগ করেছেন। গত শুক্রবার সংস্থাটি তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কোম্পানিটি বলছে, বর্তমানে অনরের সিনিয়র ম্যানেজার জিয়ান লি সিইও হিসেবে ঝাওয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
অনরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে চীনা গণমাধ্যমগুলো জানায়, ঝাও অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছেন। এ কারণে তিনি বিশ্রাম ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তবে অনর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে এখন পর্যন্ত নেয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন ঝাও।
পদক্ষেপটি এমন সময় এসেছে, যখন অনর একটি আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে। এটি প্রথম ২০২৩ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল।
হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসা ২০১৯ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তখন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর জন্য ২০২০ সালে অনরকে হুয়াওয়ে থেকে আলাদা করে দেয়া হয়।
ঝাওয়ের নেতৃত্বে অনর আন্তর্জাতিক বাজারের কথা মাথায় রেখে পুরোদমে স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করেছে। মূলত বিশ্ববাজারে স্যামসাং, অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলোকে টক্কর দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ অনুসারে, চীনে ১৫ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যা নিয়ে ২০২৫ সাল শুরু করেছে অনর। যেখানে ২০২০ সালে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কোম্পানিটি তাদের ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের অংশীদার নীল শাহ সিএনবিসিকে বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বে হাইএন্ড ডিভাইস ও প্রযুক্তির ওপর কোম্পানির ফোকাস অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ইউরোপের মতো প্রিমিয়াম মার্কেটে যদি ব্র্যান্ড ইকুইটি (ব্র্যান্ডের বাজারমূল্য ও গ্রাহকদের আস্থা) ও ডিফারেন্সিয়েশন পয়েন্ট (যা ব্র্যান্ডকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে) তৈরি করতে চায়, তাহলে পণ্যের মান বাড়িয়ে তা উচ্চমূল্য বা প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা অব্যাহত রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, চীনের বাইরে অনেকেই অনর সম্পর্কে জানেন না। ফলে ব্র্যান্ড ইকুইটি তৈরি করা কঠিন এবং কোম্পানির আরো সময়, অর্থ ও ভিন্নতা প্রয়োজন।