নিলামে অন্য রকম রেকর্ড গড়েছে বিশ্বের ছয়টি বিপজ্জনক ভাইরাসে আক্রান্ত একটি ল্যাপটপ। এখন পর্যন্ত এটির দাম উঠেছে ১২ লাখ ডলার! এ ভাইরাসগুলো বিশ্বব্যাপী শতাধিক বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছে। ফলে ল্যাপটপটিকে বর্তমানে সবচেয়ে বিপজ্জনক ডিভাইস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ নিলাম আয়োজনের পেছনে আছে ‘ডিপ ইনস্টিংকট’ নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান। তবে আয়োজনের মূল পরিকল্পক শিল্পী গুয়ো ও দং। অনলাইনে আয়োজিত এ নিলামের নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য পার্সিস্টেন্স অব ক্যাওস’। নিলাম অনুষ্ঠানটি লাইভ স্ট্রিমিংও করা হয়। নিলামে অংশগ্রহণ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত।
অবশ্য শুধু ভয়ংকর ছয়টি ভাইরাস ছাড়া ল্যাপটপটির আর কোনো বিশেষত্ব নেই।
দক্ষিণ কোরীয় প্রযুক্তি কোম্পানি স্যামসাং ২০০৮ সালে এনসি ১০-১৪ গিগাবাইট মডেলের নেটবুকটি বাজারে ছাড়ে। ১০ দশমিক ২ ইঞ্চি ডিসপ্লের ল্যাপটপটিতে রয়েছে উইন্ডোজ এক্সপি (সার্ভিস প্যাক ৩) অপারেটিং সিস্টেম। আর রয়েছে আই লাভ ইউ, মাই ডুম, সো বিগ, ওয়ান্না ক্রাই, ডার্ক টেকিলা ও ব্ল্যাক এনার্জি নামের ভয়ংকর ছয়টি ভাইরাস।
প্রদর্শনীতে বর্তমানে ল্যাপটপটি যেকোনো ধরনের সংযোগ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন (এয়ার-গ্যাপড) করে রাখা হয়েছে। যাতে এসব ভাইরাস কোনোভাবে অন্য কোনো ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
নিলামের বিবরণীতে বলা হয়েছে, এ ল্যাপটপটি একটি ‘শিল্প’ হিসেবে সম্পূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিলামে তোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ম্যালওয়্যার বিক্রি নিষিদ্ধ।
‘ওয়ান্না ক্রাই’ র্যানসামওয়্যারটির আক্রমণে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী দুই লাখেরও বেশি কম্পিউটার এই ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছিল। এছাড়া ব্ল্যাক এনার্জি ভাইরাসটি আক্রমণে ২০১৫ সালে ইউক্রেনের বৃহৎ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।