২০১৮-২০১৯ সালে পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার সাইট-লিংক বন্ধের দাবি নিয়ে আমরা আহ্বান জানালে তৎকালীন সরকার ২০১৯ সালে দুই দফায় ১৭৮ টি ও ৩৩১ টি জুয়ার সাইট-লিংক বন্ধ করে। যদিও শনাক্তকরণ করা হয় প্রায় ২২৩৫টি জুয়ার সাইট। ২০২২ ও ২৩ এর জুন পর্যন্ত বিটিআরসি ১২ হাজার তিনটি অনলাইন জুয়ার বেটিং সাইট-লিংক বন্ধ করেছিল বলে দাবি করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত পক্ষে ৬৫ শতাংশ সাইট-লিংক বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য বিটিআরসি এবং ডটের ব্যর্থতা বলে দাবি করে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্বে আসার পর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নির্দেশ প্রদান করেছিলেন জুয়া এবং পর্নো সাইট-লিংক বন্ধ করার জন্য বলে আমরা জানতে পারি। বিটিআরসি এই সাইট সাইট-লিংক করতে গিয়ে উল্টো অনেক ই-কমার্স এবং ফ্রিল্যান্সারদের আইপি ব্লক করেছিল। ফলে তারা কাজ করতে ব্যাপক অসুবিধায় পড়ে। গ্রাহকদের অসুবিধার খোঁজ নিতে গিয়েই আমরা লক্ষ্য করি বিটিআরসি আইএসপিদের নির্দেশ প্রদান করে জুয়া এবং পণ্যের সাইট-লিংক ব্লক করার জন্য।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, কিন্তু কথা হচ্ছে আইএসপি কি চাইলেই ব্লক করতে পারে? এই ব্লক করার সক্ষমতা রয়েছে একমাত্র বিটিআরসি এবং ডটের। মূলত কাজটি করছে ডট। কিন্তু কথা হলো ডটের সক্ষমতা মাত্র ৪৫ শতাংশ। তাহলে বাকি ৫৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ বাইপাস হয়ে গ্রাহকের ডিভাইজে প্রবেশ করছে। এই যে ৫৫ শতাংশ দেখভালের সামর্থ্য নেই ডটের তার দায় দায়িত্ব নিবে কে?
তিনি বলেন, তার নেই ডিভাইস এবং লোকবল। পবিত্র এই রমজানেও দেদারসে চলছে পর্নোগ্রাফি সাইট। পবিত্র রমজানের মধ্যেও যে ধর্ষণ এবং বিকৃত মানসিকতা আমরা লক্ষ্য করছি এর অন্যতম কারণ এই সকল বিকৃত পর্নোগ্রাফি। সেই সাথে চলছে জুয়া, ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আইপিএল। দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকেও দেখা গেছে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার করার। আরো রয়েছে স্বনামধন্য তারকা সেলিব্রেটিরাও জোয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের তরুণ প্রজন্ম যেমন ধ্বংস হবে। ঠিক একইভাবে ধর্ষণ ছিনতাই রাহাজানি বাড়তে থাকবে। সরকারের উচিত হবে বিটিআরসি এবং ডটকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। এদের ব্যর্থতার দায়ভার জনগণ কেন নেবে?