বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এ নতুন করে প্রশাসক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি রেজাউল হকের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে আদালতের পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত বেসিসে কোনো নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেসিসের একজন সদস্য তৌফিকুল করিম সুহৃদ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটে বেসিসে প্রশাসক নিয়োগসহ সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন।
তবে চলতি বছরের মার্চে হাইকোর্ট ওই রিটটি ডিসচার্জ করে। পরে গত ১১ মে নতুন করে চেম্বার কোর্টে আবেদন করা হলে, আজ আবারও নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারপতি রেজাউল হক।
রিটে আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম নুরুল আলম।
রিট আবেদনকারী তৌফিকুল করিম সুহৃদ বলেন, ‘আমরা চাই বেসিস পরিচালিত হোক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই।’
সরকার গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বেসিসে প্রশাসক হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দিয়েছিল। পরবর্তীতে বেসিসের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়ক কমিটি গঠন করা হয় রাফেল কবিরের নেতৃত্বে।
তবে গত ৩০ এপ্রিল রাফেল কবির পদত্যাগ করেন এবং ১ মে সহায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ মে বেসিসের প্রশাসক পদ থেকেও পদত্যাগ করেন মেহেদী হাসান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন বলেন, ‘নতুন প্রশাসক নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর করা হবে।’
তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আপাতত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত থাকছে।