রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ফোনের মাসিক লাইনরেন্ট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় লাইনরেন্ট বাতিল করে বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল ফোনে ১৫০ টাকা ফ্ল্যাট রেট করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিটিসিএলের ফোনে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামে মাসিক লাইনরেন্ট ১৬০ টাকা এবং অন্য জেলা শহরে ১২০ টাকা। আর উপজেলায় ৮০ টাকা। এ ছাড়া বিটিসিএল থেকে বিটিসিএলে কলরেট সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৩০ পয়সা এবং বাকি সময় ১০ পয়সা। আজকের সিদ্ধান্তের ফলে এই লাইনরেন্ট এবং কলরেট থাকছে না।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন বলেন, ১৫০ টাকায় সারা মাস যত মিনিট ইচ্ছা কথা বলা যাবে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ ছাড়া বিটিসিএল থেকে অন্য অপারেটরের কলরেটও কমানো হয়েছে। এই কলরেট ৮০ পয়সা থেকে কমিয়ে প্রতিমিনিট ৫২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে ল্যান্ডফোন সংখ্যা ৬ লাখের বেশি বলে জানান বিটিসিএলের পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিসিএলকে জনবান্ধব এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে জনবান্ধব সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে বলেও জানান তিনি।
গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান জনবলকে আধুনিক প্রযুক্তি উপযোগী করে তৈরি, বিডি ডোমেইন নিবন্ধন ফি ও টেলিফোন সংযোগের ডিমান্ড নোট পদ্ধতি পরিবর্তন, গ্রাহক সেবা অটোমেশন করে বিটিসিএলকে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে লাগসই কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অটোমেশন পদ্ধতিতে ঘরে বসেই যাতে গ্রাহকরা সেবা পেতে পারেন এ বিষয়েও সভায় দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।