আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে #গার্লসটেকওভার ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ।
প্রতিবছর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে তরুণীদের সাম্য, স্বাধীনতা ও প্রতিনিধিত্বে উৎসাহ প্রদানে বিশ্বব্যাপী মিডিয়া, বিনোদন, ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় পদে একদিনের জন্য তরুণ নারীদের প্রতীকী দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বছর টেলিনরের যেসব দেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে তেমন তিনটি দেশে– বাংলাদেশ, নরওয়ে ও মিয়ানমার– টেলিনরের গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভূমিকা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় তরুণীদের।
এ তিন তরুণীর মধ্যে টেলিনর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ পদ গ্রহণে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয় রেনেকা আহমেদ অন্তু। অল্পবয়স থেকেই রেনেকা নারী অধিকার ও লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে কাজ করে আসছেন। ২০২০ সালে ইয়ুথ অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি শীর্ষ পর্যায়ে রাজনৈতিক ফোরামে অংশগহণ করেন। নৃবিজ্ঞানে পড়াশোনা করা রেনেকা সমাজে কন্যা, তরুণী ও নারীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন।
রেনেকা আহমেদ অন্তু বলেন, ‘একজন নারী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশে আমি আমার অধিকারের বাস্তবায়ন চাই। সবারই উচিত নারীদের সম্মান করা এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে তাদের অবদানের মূল্য দেয়া। সমাজে আমি তরুণ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিকভাবে লৈঙ্গিক সমতার ক্ষেত্রে ক্ষমতার স্থানান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে, আমাকে এমন অসাধারণ অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়ায় আমি গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ।’
টেলিনরের গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত তিন তরুণী প্রযুক্তিখাতে নারী বিষয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের ভাবনার উপস্থাপন করেন। তাদের উপস্থাপনায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রযুক্তিখাতে নারীদের নানা সুযোগ ও অন্তরায়ের বিষয়গুলো উঠে আসে। এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেক্কে নিজ দেশে টেলিনর টেলিকমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে তিন তরুণীকে যুক্ত করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, যাতে তরুণ এ প্রতিনিধিরা তাদের ভাবনার কথা জানাতে পারেন।
এ বিষয়ে সিগভে ব্রেক্কে বলেন, ‘সবার জন্য প্রয়োজনীয় সেবার উন্নয়নে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে সফল হতে আমাদের নিজেদের মধ্যে সবার ধারণা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আজ সকালে আমি তিন তরুণ নারীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের দেশে ও বৈশ্বিকভাবে প্রযুক্তি বিষয়ে ভাবনার পরিসর বুঝতে চেষ্টা করেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনায় অনেক ইতিবাচক বিষয় উঠে এসেছে। এছাড়াও, এ আলোচনায় এটা সুস্পষ্ট যে, প্রযুক্তিখাতে মেধাবীদের যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে তা দূরীকরণে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’