মোবাইলে ইন্টারনেট বা ডাটা পরিষেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব)। একই সঙ্গে মূল্যসংযোজন কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তারা।
আজ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ।
এমটব মহাসচিব বলেন, কয়েক বছর ধরে মোবাইল খাতের রাজস্ব দেশের জিডিপির ১ শতাংশের বেশি ছিল। এ খাতের কর ও ফি-এর পরিমাণ ছিল সরকারি কর রাজস্বের সাড়ে ৪ শতাংশ। অর্থনীতিতে মোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট করের অবদান এর আকারের চারগুণেরও বেশি। অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান জিডিপিতে আনুমানিক ৭ শতাংশ।
এ খাতে করপোরেট করের হার বেশি উল্লেখ করে এস এম ফরহাদ বলেন, মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি।
মহাসচিব বলেন, মোবাইল কাভারেজের বিস্তৃতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। তাই ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির অন্যতম শর্ত হচ্ছে মোবাইল খাতে কর কাঠামোর সংস্কার। করের মাত্রা কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে সহজেই ত্বরান্বিত করতে পারে সরকার। প্রস্তাবিত বিষয়গুলির ওপরে নজর দেয়া হলে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন এবং টেলিকম খাতে করের হার বাস্তবসম্মতভাবে কমানো হলে বিনিয়োগকারীরা আরো বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে বলে জানান এমটব-এর এই নেতা।