গ্রামীণফোন তাদের ই-সিম পরিষেবা চালু স্থগিত করেছে। প্রাথমিকভাবে ৭ মার্চ থেকে চালু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনও জনসাধারণের কাছে এই পরিষেবাটি চালু সম্ভব হয়নি। ই-মিস চালুর ঘোষণার পর বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন বা বিটিআরসি থেকে গত সপ্তাহে এ সেবা স্থগিতের কথা বলা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ই-সিম চালু হলে নতুন সিম ইস্যু থেকে রাজস্ব সংগ্রহের উপর প্রভাব পড়বে, এনবিআর বিটিআরসিকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, ‘আমরা বিটিআরসি নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমাদের প্রযুক্তির মূল্যায়ন করতে হবে, সেই সাথে এটি ব্যবহারকারীদের উপর কী প্রভাব ফেলবে সেটাও দেখতে হবে। তাই আমরা ই-সিম চালু বন্ধ রেখেছি।’
ই-সিম কবে নাগাত চালু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের আগামী সপ্তাহে জিপির সাথে একটি মিটিং আছে। সেই আলোচনার পরে আমরা কখন ই-সিম চালু করতে পারবো, তা জানা যাবে।
এ বিষয়ে জিপির চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত বলেন, সিস্টেম প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও, কিছু অনিবার্য কারণে গ্রামীণফোন ই-সিম চালু করা পিছিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই ই-সিম চালু করতে পারবো।
ই-মিস হল মোবাইল ফোনের ভিতরে এম্বেড করা ডিভাইস, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ফিজিক্যাল সিম কার্ড ছাড়াই টেলিকম পরিষেবা ব্যবহার করতে পারে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশসহ অনেক দেশ ইতোমধ্যে এই সেবা চালু করেছে। সেবাটি চালু হলে গ্রামীণফোন হবে বাংলাদেশের প্রথম ই-সিম প্রদানকারী।