চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৭ হাজার ৪২১ দশমিক ৮ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বেড়েছে শতকরা ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এই সময়ে ৯ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে, যার ফলে বছরের প্রথমার্ধ শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪৬ লাখ। এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক অর্থ্যাৎ ৪ কোটি ৬২ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে, গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে আরও জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক কাভারেজে উন্নয়ন ও বিস্তৃতিতে ৫৬০ দশমিক ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের ৭৩.১ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার দরুন ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় এবং লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবায় মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি ও তরঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। বর্তমানে আমাদের ফোরজি সাইটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪০০। নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতার উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী পণ্যের কারণে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বছর প্রতি ৩.২ শতাংশ। এখন আমাদের ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
গ্রামীণফোন উদ্ভাবন, নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা অনুমোদিত সর্বোচ্চ পরিমাণ তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছি। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন আরও শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে অবদান রাখবে। পাশাপাশি, শহর ও গ্রামাঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।