ফিউচার রেডি ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে ’আগামীর বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের প্রদত্ত সেরা ১০টি আইডিয়াকে পুরষ্কৃত করলো রবি। রবির ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভবিষ্যত উদ্ভাবন এবং ডিজিটাইজেশনের ভিত্তিতে আগামী দিনের বাংলাদেশ নিয়ে আইডিয়া প্রদানের সুযোগ পায় শিশু-কিশোরেরা।
এ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর রবির কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে এক্সক্লুসিভ ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রবি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার (সিসিও) শিহাব আহমাদ, টেন মিনিট স্কুলের ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও আয়মান সাদিকসহ রবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশজুড়ে ১৩’শর বেশি জমা পরা আইডিয়া থেকে সেরা ১০টি নির্বাচন করা হয়। সেরা আইডিয়াগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ও টেকনোলজি ভিত্তিক চিন্তাধারা এবং দেশের সামাজিক বা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার চিন্তাধারাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। হাজারও আইডিয়া মধ্যে থেকে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সামিহাত তাসপিয়া রুমাইসা, যার আইডিয়া ছিল এমন একটি ডিভাইস তৈরী করা যা কিনা দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই দরকারি তথ্য পৌঁছে দিবে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুলিশ স্টেশনে। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে তানিম যার আইডিয়া একটি রিচার্জেবল ইনোভেটিভ শ্রুতিলিখন কলম তৈরি করার, যা দূর করবে তার মতো লিখালিখিতে অক্ষম শিশুদের সমস্যা।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার (সিসিও) শিহাব আহমাদ বলেন, “আজ যারা শিশু অথবা তরুণ তারাই আমাদের ডিজিটাল ভবিষ্যতের মূল চালিকা শক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা যদি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও উপযুক্ত সুযোগের পথ প্রশস্ত করতে পারি, তাহলে তারা নিজেরাই এমন ভবিষ্যত তৈরি করবে যা তৈরির স্বপ্ন আমরা এখন দেখি। ভবিষ্যতে যারা এ দেশকে এগিয়ে নেবে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার বিকাশ এবং দক্ষতা উন্নয়নে রবি এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”
গত ১৫ই নভেম্বর রবি’র ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রবি’র ফ্ল্যাগশিপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আর-ভেঞ্চারস ৩.০ চালুর ঘোষণা দেয়া হয় এবং প্রতিযোগিতার শীর্ষ ডিজিটাল স্টার্ট-আপগুলোতে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন রবি’র সিইও রাজীব শেঠি।